পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আবহে ঢোক গিলতে বাধ্য হল কেন্দ্র। একধাক্কায় সুদে🐈র হার কমানোর পর ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ন🐻য়া নিয়ম প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দাবি করলেন, ভুলবশত অর্থ মন্ত্রকের তরফে একধাক্কায় স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে একটি টুইটবার্তায় সীতারামন বলেন, ‘২০২০-২১ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে যে হারে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বল্প সঞ্চয়ের প্রকল্পে সুদ মিলত, সেই হার বজায় থাকবে। অর্থাৎ ২০২১ সাল♑ের মার্চ যে হারে সুদ মিলত, সেই হারের সুদ মিলবে। যে ভুলবশত নির্দেশ জারি করা হয়েছিল, তা প্রত্যাಞহার করে নেওয়া হবে।’
যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সাফাই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, অর্থ মন্ত্রকের তরফে এরকম ‘ভুল’ হল কীভাবে? তাহলে কি কেন্দ্রের বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছে? যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, পশ্চিমবঙ্গ, অসম-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটের মুখে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার একধাক্কায় অনেকটা কমানোর ফলে আমজনতার মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। তার প্রভাব ভোটব্যাঙ﷽্কেও পড়ত। তাই তড়িঘড়ি সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের কটাক্ষ, ভোট বড় বালাই। তাই তড়িঘড়ি ‘ভুল’-এর সাফাই দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ মে ভোটের ফলাফল বেরিয়ে গেলেই ‘ভুল’ নির্দেশিকা আবারও জারি করা হবে।
আপাতত কত থাকছে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার?
১) সেভিংস অ্যাকাউন্ট : ৪ শতাংশ (বুধবারের নির্দেশিকায় সুদ ৩.৫ শতাংশ কꦜরা হয়েছিল)।
২) ১-৫ বছরের মেয়াদি জমা : ৫.৫-৬.৭ শতাংশ (বুধবারের নির্দেশিকায় সুꦉদ ৪.৪-৫.৮ শতাংশ কর💦া হয়েছিল)।
৩) রেকারিং ডিপোজিট : ৫.৮ꦚ শতাংশ (বুধবারের নির্দেশিকায় সুদ ৫.৩ শতাংশ করা হয়েছিল)।
৪) সিনিয়র সিটিজেন সে🦩ভিংস স্কিম : ৭.৪ শতাংশ (বুধবা𝄹রের নির্দেশিকায় সুদ ৬.৫ শতাংশ করা হয়েছিল)।
৫) মাসিক আয় প্রকল্প : ৬.৬ শতাংশ (🐻বুধবারের নির্দেওশিকায় সুদ ৫.৭ শতাংশ করা হয়েছিল)।
৬) জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্প : ৬.৬ শতাংশ (বুধবারಞের নির্দেশিকায় সুদ ৫.৭ শতাংশ করা হয়েছিল)।
৭) পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড : ৭.১ শতাংশ (বুধবারের নির্দেশিকায় সুদ ৬.৪ শতাংশ করা হয়েছি𓆉ল)।
৮) কিষান ꦺবিকাশপত্র : ৬.৯ শতাংশ (বুধবারের নির্দেশিকায় সুদ ৬.২ শতাংশ করা হয়েছিল)।
৯) সুকন্যা সমৃদ্ধি : ৭.৬ শতাংশ (বুধবারের নির্দেশিকায় সুদ ৬.৯ শতাংশ করꦏা হয়েছিল)।