অভয়া আদলাখা
বৃহস্পতিবার বিকালে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করে এথিক্স কমিটির মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কমিটির চেয়ারপার্সন বিনোদ সোঙ্কারকে সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তিনি। এবার মহুয়ার সেই অভিযোগের জবাব দিলেন সোঙ্কার। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তদন🐭্তে সময় প্রশ্ন এড়িয়ে যা🍒ওয়ার জন্য মহুয়া মৈত্র চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন।
শুক্রবার বিকালে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যেগুলি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে শুধু সেগুলিই তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। সেটা হীরানন্দানির হলফনামা হতে পারে বা দুবের আবেদনপত্র সংক্রান্ত হতে পারে। এমনকী তিনি যে প্রশ্নের উত্তর দিতে চান সেটা দেꦅওয়ার অধিকারও তাঁর রয়েছে। যেটা তাঁর ইচ্ছা নয় সেটা তিনি না বলতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটা না করে, শুধু তদন্তে বাঁধা তৈরির জন্য তিনি ঝামেলা শুরু করে দেন। তিনি চেয়ারম্যানের জ🐷ন্য যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন, কমিটির সদস্যদের জন্য় যে কথা বলেছেন, সেটা একজন মহিলা এমপির মুখে মানায় না। তিনি উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার জন্য ও তদন্তে বাধা তৈরির জন্য় এসব করেছেন। দাবি সোঙ্কারের।
এদিকে মিটিং ভেস্তে যাওয়ার পরেই নিশিকান্ত দুবে ও সোঙ্কার মুখ খুলেছিলেন। সোঙ্কার জানিয়েছিলেন, উত্তর না দিয়েই রেꦐগে গেলেন তিনি। এরপর চেয়ারম্যান ও কমিটির মেম্বারকে লক্ষ্য করে অসংসদীয় ভাষা প্রয়োগ করতে থাকেন। বিরোধী এমপিরাও ওয়াক আউট করেন। তবে কমিটি আবার মিটিংয়ে বসবে। এই অসংসদীয় ব্য়বহার নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবের দাবি, বিনোদ সোঙ্কারকে বিহারী মস্তান, ঝাড়খন্ডী কুকুর বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। নিশিকান্ত দুবের 🐲দাবি, কটা টাকার জন্য জাতীয় সুরক্ষাকে বেচে দিয়েছেন এমপি।
এদিকে এথিক্স কমিটি থেকে বেরিয়ে এসে মহুয়া মৈত্র তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, এটা কী ধরনের মিটিং? পুরো নোংরা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছে। যা খুশি তাই তুলে আনছে। এরপর তিনি লোকসভার স্পিকারকে চিঠিও দেন। তিনি জানান, এথিক্স কমিটির মিটিংয়ে কার্যত বস্ত্রহরণ করা হয়েছে। অনেকের মতে, মিটিংয়ে মহুয়া মৈত্রকে কী ধরনের নোংরা প্রশ্ন করা হয়েছে সেটা জানানোর জন্যই তিনি এই বস্ত্র হরণ শব্দটি প্রয়োগ করেছেন। তবে এবার কার্যত পালটা হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল🐓েন এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান।