চিনে উত্তাপ। আর তার প্রভাব পড়ছে আর্থিক বাজারে। দীর্ঘস্থায়ী কোভিড বিধিনিষেধ নিয়ে কার্যত বিরক্ত চিনের আমজনতা। সরকারের কোভিড নীতির বিরুদ্ধে তুঙ্গে⛎ প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে শেয়ার, দ্রব্যাদির দরে প্রভাব পড়ছে। অস্বস্তিতে বেজিং। জিনপিং সরকার ঠিক কীভাবে গোꦡটা বিষয়টা সামাল দেবে, তা অজানা।
চিনা সম্পদে বিনিয়োগকারীদের অবস্থা এখন সবচেয়ে খারাপ। তাঁরা ভেবেছিলেন চিনে করোনা শেষ। অর্থনীতির চাকা ফের ঘুরতে শুরু করেছে। কিন্তু এমন কড়া লকডাউন, তার বিরুদ্ধে আবার বিক্ষোভ প্রতিবাদের জেরে মাথায় হাত তাঁদের। আরও পড়ুন: Apple, Google যদি Twitter ব্যান করে, আমরা নিজেদের ফোনꦿ লঞ্চ করব: Elon Musk
চিনের অর্থনীতিবিদ লু টিং বলছেন, 'বাস্তব💧টা এখন খুব স্পষ্ট। বিনিয়োগকারীদের এখন তাঁদের উচ্চাকাঙ্খী প্রত্যাবর্তনের প্রত্যাশায় দাঁড়ি টানতে হবে। চলতি সপ্তাহটা চিনের সঙ্গে জড়িত বাজার এমনই টালমাটাল থাকবে।'
সোমবার ব্লুম⭕বার্গ ডলার স্পট সূচক ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে নিরাপদ সম্পদের দিকেই এগোচ্ছেন। ইয়েন ০.৬ শতাংশ বেড়েছেꦗ। বেঞ্চমার্ক ১০ বছরের ট্রেজারির রিটার্ন প্রায় ৩ বেসিস পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে।
এদিকে, তেলের মতো ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের দাম কমে গিয়েছে। কেন? কারণটা খুব সহজ। ফের করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন। এর ফলে পরিবহন, বিদ্যুত্ উত্পাদনের চাহিদা কমবে। তাই চ🅰াহিদা কমলে দামও কমবে।
এদিকে চলতি মাসের শুরুতেই কিন্তু ছবিটা অন্যরকম ছিল। গত ১১ নভেম্বর বেজিং কোয়ারেন্টিন পিরিয়ড হ্রাস করে। টেস্টিংয়ের সংখ্যাও কমায়। করোনা নিয়ে কড়াকড়ি কমানো হয়। তাতে সুড়ঙ্গের শেষে যেন আলো দেখতে পাচ্ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। MSCI সূচকেও তার প্রভাব দেখা দেয়। চড়চড় করে ৩৭০ বিলিয়ন ডলার বাড়ে সূচক। ইউয়ান ৮ সপ্তাহের সর্বোচ্চ দরে পৌঁছে যায়। এর পাশাপাশি বেজিং সরকারের পুনরোদ্ধার তহবিলের কারণেও মুখে হাসি ফোটে বিনিয়োগকারীদের। ডেভেলপার বন্দের বিক্রি ফের বাড়তে শুরু করে। আরও পড়ুন: অনেকের গায়ে মরক্কোর পতাকা! বিশ্বকাপে হাকিমিরা জিততেই বেলজিয়া🍷মের রাজধানীতে হিংসা
কিন্তু ফের কোভিড বৃদ্ধি, লকডাউন ও প্রতিবাদ-অশান🐈্তির জেরে সেই সবই জলে গিয়েছে।
তবে এই বিক্ষোভ কর্মসূচীতে🔴ই আশার আলো দেখছেন অনেকে। নিউইয়র্কের তেনিও হোল্ডিংস-এর এমডি গ্যাব্রিয়েল ওয়াইল্ডাউয়ের মতে, এই বিক্ষোভ মধ্য মেয়াদে বাজারের জন্য ইতিবাচক হতে পারে। যদি তারা চিনের সরকারকে কোভিড জিরো-র নীতি থেকে প্রস্থানে উত্সাহꦅিত করতে পারে, তাহলেই তো সমস্যাটা মিটে যাবে!
তবে তিনি এটিও বলেন যে, শি জিনপℱিং জনসমক্ষে ভুল স্বীকার করবেন না। দুর্বলতাও♑ দেখাবেন না। তবে এই প্রতিবাদের ঢেউয়ের ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা কোভিড নিষেধাজ্ঞা আরও দ্রুত তুলে নিতে প্ররোচিত হতে পারেন।