সুতীর্থ পত্রনবীশ
চিনের নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসাবে♌ শপথ নিলেন লি কিয়াং। সাং♓হাইয়ের কমিউনিস্ট পার্টির প্রাক্তন প্রধান। প্রায় একদশক পরে লি কেকিয়াংয়ের ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বসলেন তিনি। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লি কিয়াংয়ের কাছে একাধিক বড় চ্যালেঞ্জ। গত তিন বছর ধরে কোভিড নিয়ন্ত্রণ করা, গোটা বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার আঁচও সহ্য করতে হয়েছে চিনকে। আর সেই চিনের হাল ধরলেন লি কিয়াং।
৬৩ বছর বয়সী লি কিয়াং। বলা হয়, চিনের প্রেসি🐓ডেন্ট জি জিনপিংয়ের সঙ্গে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তার। এ💛দিকে চিনের রাজনৈতিক সিস্টেমে লি হলেন এবার কার্যত দ্বিতীয় শক্তিশালী ব্যক্তি বা সেকেন্ড ইন কমান্ড।
তবে সেই ১৯৪৯ সালের পর থেকে আধুনিক চিনের শুরুর পর থেকে লি হলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি এর আগে কোনও দিন সে দেশের কেন্দ্রীয় সরকারে ছিলেন না𓂃। লি সব মিলিয়ে ২৯৩৬টি ভোট পেয়েছেন। চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং লি কিয়াংকে নিয়োগের ব্যাপারে একটি প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডারে সই করেছিলেন শনিবার। সরকারি নিউজ এজেন্সি জিনহুয়া সূত্রে এমনটাই খবর।
অন্যদিকে জ্যাং ইয়ুক্সিয়া ও হে উইডং সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্য়ান হিসাবে নিযুক্ত হচ্ছেন। শনিবার ১৪ তম ন্য়াꦚশানাল পিপলস কংগ্রেসে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জিনহুয়ার রি𒁏পোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩০০০ এনপিসি ডেপুটি চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনহুয়ার মনোনয়নকে সমর্থন জানিয়েছ꧋েন। লি সাংফু, লিউ ঝেনলি, মিয়াও হুয়া, ঝ্যাং সেংমিনকে সিএমসি সদস্য হিসাবে নিয়োগ করা হচ্ছে।
এদিকে গত কয়েকদিন চিনের ক্ষমতার শীর্ষপদে পরিবর্তন নিয়ে গোটা বিশ্বজুড়ে জোর চর্চা চলছে। সম্প্রতি লি কেকিয়াং চিনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। দীর্ঘ ইনিংস খেলার পরে তিনি পিচ থেকে সরে দাঁড়ান। অনেকের মতে, বিগত দিনে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডেন্ট পদে জি জিনপিংয়ের অন্য়তম প্রতিযোগী ছিলেন লি কেকিয়াং। দু♚জনের চলার পথে ও মতেরও কিছু অনৈক্য ছিল। কেকিয়াং মূলত বাজার ভিত্তিক আর্থিক সংস্কারের পক্ষপাতী ছিলেন। অন্যদিকে জিনপিং অর্থনীতির উপর রাষ্ট্রের একেবারে কড়া নিয়ন্ত্রণ চাইতেন।
বিগত দিনে কমিউনিস🌳্ট পার্টির যুব সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন কেকিয়াং। তবে অবসরের আগেই তাকে পলিটব্যুরোর সদস্যপদ ছেড়ে দিতে হয়েছিল। আসলে একটা সময় চিনের সম্ভাব্য শীর্ষ নেতা হিসাবে মনে করা হত কেকিয়াংকে। কিন্তু জিনপিংয়ের দাপটে তিনি ক্রমেই কোণঠাসা হতে শুরু করেছিলেন। এবার চিনের প্রধানমন্ত্রী পদে এলেন লি কিয়াং।