মিলিটারি ‘প্রেমী’দের এবার সতর্ক করল চিন। উইচ্যাটে (WeChat) একটি পোস্ট করে এই নিয়ে বিস্তারিত বিবৃতি দিল চিন সরকার। মিলিটারির বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আগ্রহ রয়েছে অনেক চিনা নাগরিকের। মাঝে মাঝেই মিলিটারি মহড়ার নানা ছবি তাঁরা ক্যামেরাবন্দি করেন। পরে সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করতে দেখা 🎃যায়। এবা🐠র এই ব্যাপারেই সতর্ক করল চিন সরকার। এভাবে ছবি তোলাকে নিষিদ্ধ করল সরকার। পাশাপাশি এর জন্য জেলের সাজাও ঘোষণা করা হল।
(আরও পড়ুন: Weight loss: এক মাসেই কমবে ৫ কেজি! ৫ টি🐻পস মেনে চলুন রোজ, ꦫহাতেনাতে ফল পাবেন ৩০ দিন পর)
- নিয়ম ভাঙলে কঠিন সাজা
সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে ওই পোস্টের কথ𝔍া উল্লেখ করা হয়েছে। উইচ্যাট পোস্ট চিন সরকার দেশের নিরাপত্তার কথা জানায়। এভাবে ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করায় দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। স্টেট সিকিউরিটি মন্ত্রক (Ministry of state security) পোস্টে উল্লেখ করে এই গোটা কাজটাই আদতে বেআইনি। এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য সাত বছর জেলের সাজাও ঘোষণা করেছে চিন (seven years in prison)।
- বড় হুঁশিয়ারি চিনের
বিভিন্ন মিলিটারি এয়ারপোর্ট, জাহাজ বন্দর, এমনকি বেশ কিছু মিলিটারি রুটে লুকিয়ে থেকে এই ধরনের কার্যকলাপ করা হয় বলে জানিয়েছে চিন। সাধারণত টেলিফটো লেন্স বা ড্রোন দিয়ে সেই সব ছবি তোলা হয়। এই ধরনের ছবি ইন্টারনেট শেয়ার করার ফলে জাতীয় নিরাপত্তা নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি। এই বিষয়ে মন্ত্রকের নিজস্ব গুপ্তচর বিভাগ নিয়মিত তথ্য দিচ্ছে বলেও জানায় চিন। প্রথমবার ধরা পড়লে শুধু সতর্ক করা হবে। তবে দ্বিতীয়বার ধরা পড়লে সাত বছরের জেল হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিনা মন্ত্র𓆉ক।
(আরও পড়ুন: Hand and Leg Numbness: মাঝে মাঝেই পায়ে ঝিনঝিন ধরে? 🎃এটি একটি বড় রোগের লক্ষণও হতে পারে, কী করবেন)
- চিন-মার্কিন সম্পর্কে উত্তাপ বাড়ছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে ক্রমশ। তাঁর মাঝেই মিলিটারির গোপনীয়তা আঁটোসাঁটো করতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করল চিনা মন্ত্রক। বিশেষজ্ঞমহলের ဣকথায়, ইন্টারনেটে ছবি শেয়ার করলে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রের বৈশিষ্ট্য আর গোপন থাকে না। এমনকি বেশ কিছু যুদ্ধ কৌশলও ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পোস্টে এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে চিনা মন্ত্রক। প্রসঙ্গত, চিনের মিলিটারির নয়া যুদ্ধজাহাজ তথা ক্যারিয়ার ‘ফুজিয়ান’ (Fujian)-কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বলেও মনে করা হচ্ছে।