গত দুই দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে বার্কের প্রাক্তন সিইও পার্থ দাসগুপ্তের হোয়াটꦛসঅ্যাপ চ্যাট। টিআরপি দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে এই চ্যাটের সন্ধান পায় মুম্বই পুলিশ, যা ফাঁস হয়ে গিয়েছে অনলাইন। এবার সেই চ্যাটের বিভিন্ন অংশ নিয়ে তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা। এই নিয়ে এখনও নীরব শাসক ভারতীয় জনতা পার্টি।
রবিবার সকালেই কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তেওয়ারি বলেন যে যৌথ সংসদীয় কমিটির এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত। তিনি বলেন যে যদি মিডিয়া যেটা বলছে সেটা ঠিক হয়, তাহলে বালাকোট আক্রমণ ও ভোটের মধ্যে কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে। তাহলে ไকি ভোটের জন্য জাতীয় নিরাপত্তাকে ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই প্রশ্ন করেন তিনি।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া ম♉ৈত্রও এই নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তাঁর দাবি যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে এটা বোঝা যাচ্ছে যে বালাকোট স্ট্রাইক ও ৩৭০ ধারা নিয়ে আগে থেকেই সরকার অর্ণবকে জানিয়ে রেখেছিল। এই নিয়ে মোদী-শাহের উত্তর দেওয়া উচিত বলে তিনি দাবি করেন।
এই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল করার জন্য ক্রমশই কংগ্রেস নেতৃত্বের ওপরღ চাপ বাড়াচ্ছে দলীয় নেতারা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সাংসদদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে তবে সবাই এই নিয়ে হইচই করার পক্ষে নয়। এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কংগ্রেস এই ইস্যুটি নিয়ে সরব না হলেও দলীয় নেতারা জানিয়েছেন যে প্রা😼য় ৫০০ পাতার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তারা পড়ে দেখছেন ও ঠিক সময়ে তাঁরা সরকারকে এই নিয়ে চেপে ধরবেন।
এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন কার্তি চিদম্বরম, জয়রাম রমেশ, অভিষেক মনু সিংঙ্ঘভি। প্রখ্যাত আইনজীবী অভিষেক সিংঙ্ঘভি অভিযোগ করেন যে সরকারের কোনও শীর্ষস্থানীয় নেতা অর্ণবকে তথ্য যোগান দিচ্ছেন যেটা সেনাবাহিনীর প্রাণ বিপদে ফেলতে পারে। টিআরপি-র জন্যেই এই কাজ বলে তিনি অভিযোগ করেন। একই ভাবে টিআরপি নির্ধারণ করে যে সংস্থা, বার্ক তার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন জয়রাম রমেশ। তাঁর মতে ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানোর কাজে স🔯িদ্ধহস্ত এই সংস্থা। প্রসঙ্গত, বার্কের সিইও-র সঙ্গেই বহু বিষয় নিয়ে চ্যাট করেছেন অর্ণব, যা এখন প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে।