আদানির সঙ্গে সেবি প্রধানের 'যোগসূত্র' নিয়ে গতকাল বিস্ফোরক দাবি করেছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। আর সেই ইস্যুতে এবার সরকার পক্ষকে আক্রমণ শানাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল কংগ্রেস। এই নিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ বিবৃতি প্রকাশ করেন। এর আগে কংগ্রেস নেতা প্রশ্ন করেন, কেন সংসদ অধিবেশন ১২ তারিখ পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও ৯ অগস্ট তা স্থগিত করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গ বিস্ফোরণের পর সেবি কর্তার সাথে আদানি যোগের 'টাইমলাইন' প্রকꦦাশ মহুয়ার)
আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গের নয়া𒅌 🅠দাবি সামনে আসতেই '৩ জুনের শেয়ার বাজার জালিয়াতি' নিয়ে সরব TMC
আদানির এই বৃহৎ কেলেঙ্কারির তদন্তে সেবি অদ্ভুত ভাবে যে টালবাহানা করে এসেছে, তা আগেই লক্ষ্য করা গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিশেষজ্ঞ কমিটিও তা দেখেছিল। বিদেশি ফান্ড থেকে কে বা কারা কী ভাবে লাভবান হচ্ছে, সে সম্পর্কিত রিপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। ২০১৯ সালে সেই বিধি পুরোপুরি তুলে দেয় সেবি। এই বিষয়টি ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কমিটির রিপোর্টে। তবে আদানি সম্পর্কিত রিপোর্ট প্রকাশের পর চাপে💮র মুখে সেবি ২০২৩ সালের ২৮ জুন কড়া রিপোর্টিং রুল তৈরি করে। ২০২৩ সালের ২৫ অগস্ট সেবি জানায় একাধিক সন্দেহজনক লেনদে🌄ন নিয়ে তারা তদন্ত চালাচ্ছে। তবে সে তদন্তের কোনও ফল এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
আরও পড়ুন: 'তথ্যের হেরফের…', সেবি প্রধানকে নিয়ে🅠 হিন্ডেনবার্গের বিস্ফোরণের পর পালটা দাবি আদানির
এরপর কংগ্রেসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'হিন্ডেনবার্গের নয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে বুচ এবং তাঁর স্বামী বারমুডা এবং মরিশাসের সেই দুই অফসোর ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন। বিনোদ আদানি এবং তাঁর সহায়ক চ্যাং চুং লিং ও নাসের আলি শাহবান আহলিও সেই একই ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন। সেবির নিয়ম লঙ্💃ঘন করেই সবটা হয়েছিল। এই ফান্ডে বুচের অংশিদারিত্ব রয়েছে, যা অবাক করার মতো ঘটনা।' কংগ্রেস নেতা এই বিবৃতির ক্যাপশনে ল্যাটিলে লেখেন, 'এবার চৌকিদারের চৌকিদারি কে করবে?'এর আগে অন্য এক পোস্টে তিনি লেখেন, 'এবার বোঝ গেল যে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১২ অগস্ট পর্যন্ত সংসদ অধিবেশন চালু থাকার কথা থাকলে কেন আচমকা তা ৯ অগস্টে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়।'
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক থেকে🌌 টাকা তোলায় বিধিনিষেধ, নোট বাতিলের♓ আতঙ্ক, ভারতের ১ লাখ বাংলাদেশে কত?
উল্লেখ্য, গতকাল হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়, সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামীর অংশিদারিত্ব রয়ছে বারমুডা ও মরিশাসের অখ্যাত অফশোর ফান্ডে। আদানিদের সঙ্গে সে♍ই ফান্ডের যোগ আছে। ২০১৭ সালে মাধবী সেবির পূর্ণ সদস্য হওয়ার আগে নাকি তাঁর স্বামী এই বিনিয়োগ পুরোপুরি নিজের নামে করার আবেদন জানিয়েছিলেন। যাতে মাধবীর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত না হয়। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, একটি মাল্টিলেয়ার অফশোর স্ট্রাকচারের মাধ্যমে এই বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই আবহে বিনিয়োগের বৈধতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। আর এই অভিযোগ সামনে আসতেই মুখ খুলেছেন মাধবী এবং তাঁর স্বামী।