তেলেঙ্গানার মেদাক জেলার তুপরানের পোতারাজুপল্লি।⛦ সেখানেই থাকতেন শ্যামলা নামে এক তরুণী। বছর ৩০ বয়স। গত কয়েকদিন ধরেই কিছুটা অসুস্থ ছিলেন তিনি। জ্বর সহ নানা উপসর্গ ছিল তাঁর। চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। এরপর করোনা পরীক্ষা করা হয় তাঁর। রিপোর্ট আসে, কোভিড পজিটিভ। সে তো অনেকেরই রিপোর্টই পজিটিভ আসছে। কিন্তু শ্যামলার বেলায় হল কিছুটা অন্যরকম। কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট শুনেই একেবারে আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। আচমকাই অসুস্থতা বেড়ে যায় তাঁর। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলেꦅ পড়েন তিনি। গোটা ঘটনায় হতবাক তাঁর পরিজনরা। পোতারাজুপল্লি পুরসভার শ্মশানে কোভিড প্রটোকল মেনেই তাঁর শেষকৃত্য হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, বছর তিনেক আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। তারপর ডিভোর্সও হয়ে যায় । বর্তমানে নিজের বাবা মায়ের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। সেখানেই সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর এই মৃত্যু।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের অনেকেরই প্রশ্ন, করোনা মা🅺নেই কী সাক্ষাৎ যমদুয়ারে যেতে হবে? এনিয়ে নানা কথা উঠছে আজকাল। বলা হচ্ছে করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউতে আচমকাই শারীরিক অবনতি হচ্ছജে অনেকের। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হচ্ছে শ্বাসকষ্ট। এরপর একেবারে যমে মানুষে টানাটানি। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও তো আছে। অনেকেই তো হোম আইসোলেশনে থেকেও ভালো হয়ে যাচ্ছেন। একেবারে সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আসলে বাসিন্দাদের একাংশের মতে, উদ্বেগটা অন্য জায়গায়। করোনা হওয়ার পরে অবস্থার অবনতি হলে বেড মিলবে তো? অক্সিজেন কি আদৌ পাওয়া যাবে? এই উদ্বেগ কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুক্তির পথ একটাই, সচেতন হতে হবে, সতর্ক হতে হবে।