লাদাখ, দিল্লি, মুম্বই ও বিশাখাপত্তনম-সহ দেশের একাধিক স্থানে নিরাপ💫ত্তা বাহিনীর সদস্যদের জন্য কোভিড প্রতিষেধক টিকাকরণের সূচনা করল ভারতীয় সেনাবাহিনী। সামরিক বিভাগের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের শনিবার কোভিড টিকা দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ প্রক্রিয়💟া শুরু হয়, জানিয়েছে ওয়াকিবহাল সূত্র।
টিকাকরণ ♚প্রক্রিয়ার প্রথম দিনে কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি বলে জানা গিয়েছে।
টিকাকরণ অভিযানে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের, যাঁরা সামনে দাঁড়িয়ে কোভিড অতিমജারীর মোকাবিলা করছেন। একই সঙ্গে অগ্রাধিকারের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন লাদাখ অঞ্চলে মোতায়েন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেনা সদস্যদের মধ্যেতাঁরাই প্রথম কোভিড টিকা পেলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গেই অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে সাবমেরিনে মোতায়েন নৌ-বাহিনীর সদস্যরা।
ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধে পꦗূর্ব লাদাখে মোতায়েন করা হয়ꩵেছে সামরিক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের। শুক্রবার হিন্দুস্তান টাইমস-এর রিপোর্ট জানিয়েছিল, প্রথম দফার কোভিড টিকাকরণে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
শনিবারের আগেই লাদাখে পৌঁছে যায় ১২,০০০ এরও বেশি কোভিড ভ্যাক্সিনের ডোজ। এর মধ্যে ৪,০০০ ডোজ সামরিক সদস্যদের জন্য চিহ্নিত করা হয়। আর্মি মেডিক্যাল কর্পস-এর সেপাই ไসুনীল দা💙স লেহতে প্রথম কোভিড টিকা নেন।
দিল্লিতে শীর্ষস্থানীয় সামরিক চিকিৎসক-সহ কোভিড ট🀅িকা দেওয়া হয় কোভিড যোদ্ধাদের। টিকাকরণের জন্য নির্দিষ্ট হয়েছিল সেনাবাহিনীর বেস হাসপাতাল, সেনা হাসপাতাল (রিসার্চ অ্যান্ড রেফারাল) এবং আর্মড ফোর্সেস ক্লিন🉐িক। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর বৃহত্তম কোভিড হাসপাতাল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বেস হাসপাতাল।
মুম্বইতে নৌবাহিনীর হাসপাতাল অশ্বিনীতে টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা হ♕য়। প্রথম টিকা নেন অশ্বিনীর꧑ রিয়ার অ্যাডিরাল শীলা মাথাই। একই দিনে টিকা দেওয়া হয়েছে অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের, জানিয়েছে নৌবাহিনী সূত্র। পরবর্তী পর্যায়ে টিকা পাবেন প্রথমসারির করোনা যোদ্ধারা এবং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে মোতায়েন নৌবাহিনীর সদস্যরা। শনিবার টুইটারে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রধান প্রতিরক্ষা জনসংযোগ আধিকারিক।
বিশাখাপত্তনমে ইস্টার্ন ন্যাভাল কম্যান্ড প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল অতুল কুমার জৈন কল্যাণীতে টিকাকরণ অভিযানের উদ্বোধনকরেন। সূত্রে খবর, শনিবার মোট ৪০ জন কোভিড যোদ্ধাকে টিকা দেওয়া ꧃হয়।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। তবে এর মধ্যে বাদ পড়বে রুটিনমাফিক অন্যান্য প্রতিষেধক অভিযানের জন্য নি𓂃র্দিষ্ট দিনগুলি।