বিশ্বের বেশ কয়েকটি কোভিড ভ্যাক্সিন ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ভারতে ভ্যাক্সিন উৎপাদন, আমদানি, মজুত ও বণ্টন প্রক্রিয়া সুনিশ্চ💫িত করতে পর্যাপ্ত পরিকাঠাম👍ো ব্যবস্থা প্রস্তুত করার উদ্দেশে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ভ্যাক্সিন মজুত রাখার জন্য বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি হাব💙 গড়ার পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে হিমঘরের উপর, কারণ বেশিরভাগ ভ্যাক্সিনই নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় মজুত ও বণ্টন করতে হবে। অন্যথায় টিকা নষ্ট হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
নীতি আয়োগ সদস্য (স্বাস্থ্য) চিকিৎসক ভি কে পালের নেতৃত্বে ভ্যাক্সিন নিয়ন্ত্রণ🅰ের জন্য গঠন করা জাতীয় বিশেষজ্ঞ দলের অধীনে রাখা হয়েছে একাধিক উপদল, যাদের প্রধান কাজ হবে ভ্যাক্সিন উৎপাদন, সংগ্রহ ও বণ্টন ব্যবস্থাপনা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, ‘উপদলগুলি ♋ইতিমধ্যে সরকারি টিকাকরণ প্রকল্পে ব্যবহৃত হিমঘরগুলি চিহ্নিত করেছে। পাশাপাশি, আরও কত সংখ্যক হিমঘরের প্রয়োজন রযেছে, তা-ও জানা গিয়েছে। বর্তমানে বেসরকারি মজুত ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং ন্যূনতম সংস্কারের সাহায্যে সেগুলি কী ভাবে কাজে লাগানো ꦫযায়, তা খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সংগ্রহ করা থেকে মজুত করা, সমগ্র ভ্যাক্সিন চলাচলের উপরে হাতেকলমে নজর রাখতে টিকারণ প্রকল্পে🔯 ব্যবহৃত বৈদ্যুতিন ভ্যাক্সিন ইনটেলিজেন্স নেটওয়ার্ক-এর (eVIN) সাহায্য নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। ক্লাউড-বেসড এই অ্যাপ মজুত থাকা ভ্যাক্সিনের হিসাবের পাশাপাশিতা প্রয়োজন অনুসারে সরবরাহের খতিয়ান সংরক্ষণ করে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্য বর্ধন জানিয়েছেন, ২০০ থেকে ২৫০ কোটি মানুষের জনܫ্য ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ভ্যাক্সিন ডোজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
৭০০টি জেলাজুড়ে ভারতে প্রায় ২৭,০০০ ভ্যাক্সিনের গুদাম রয়েছে। এর মধ্যে ৫০,০০০ গুদামে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে পরিকাঠামো ব্যবস্থায় বহা𝓀ল রয়েছেন কমপক্ষে ৪০,০০০ কর্মী।
অন্য দিকে, ভ্যাক্সিনের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আসরে নামছে দেশেৎ অন্যতম বড় স্বাস্থ্য পরিষেবা সংস্থা অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রুপ। অধিকাংশ ভারতীয় নাগরিককে যাতে ভ্যাক্সিন ডোজ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যৌꦏথ ভাবে কাজে নেমেছে সংস্থা। অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানিয়েছেন অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রুপ একজিকিউটিভ ভাই༒স-চেয়ারপার্সন শোভনা কামিনেনি।
প্রতিটি অ্যাপোলো হাসপাতাল, ফার্মাসি ও ক্লিন♑িকে এখনও পর্যন্ত ১০,০০০ পেশাদারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ভ্যাক্সিন প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে অ্যাপোলো গ্রুপ। এ ছাড়া দেশজুড়ে সংস্থার কোল্ড চেন পরিষেবার সাহ🤪ায্যে যে কোনও প্রান্তে ৩০ মিনিট থেকে ২ দিনের মধ্যে ভ্যাক্সিন সরবরাহ করার ব্যবস্থাও তাঁদের রয়েছে বলে জানিয়েছেন কামিনেনি।