শুধু ব্রিটেন, বা ভারত নয়, বিশ্বের অসংখ্য দেশেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদꦿ্যালয়ের করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল। কিন্তু অন্যতম প্রতিশ্রুতিমান করোনা টিকা হোঁচট খাওয়ার পর বাস্তবের ছবিটা স্পষ্ট হচ্ছে। সঙ্গে উঠে আসছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন - করোনা টিকার দৌড়ে ফার্স্ট হতে গিয়ে আদতে সুরক্ষার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে না তো?
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় একজন রোগী অসুস্থ হয়ে পড়া ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির কাছে বড় বিষয় নয়। কিন্তু মহামারীতে ধুঁকতে থাকা বিশ্বের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ট্রায়ালের খবরে একটি স্পষ্ট বার্তা ꧋হল- সম্ভাব্য টিকা ব্যর্থ হতে পারে। একেবারে খারাপ ধরলে ভালোর থেকে ক্ষতিও বেশি করতে পারে সেই ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’।
অ꧟ক্সফোর্ডের ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’ ট্রায়াল নিয়ে এগুলি আপনার অবশ্যই জানা প্রয়োজ🍃ন -
১) করোনা যুদ্ধের ক্ষেত্রে বড়সড় উদ্বেগ তৈরি করে মঙ্গলবার সুইডিশ-ব্রিটিশ বায়োটেক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, একজন স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতার কারণে ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল স্থগিত রাখা হচ্ছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার মুখপাত্র মিশেল মেক্সেলের বিবৃতি উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানায়, টিকাকরণের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়🅠েছে সংস্থা। একটি স্বতন্ত🍬্র কমিটি ‘সেফটি ডেটা’ (সুরক্ষাজনিত তথ্য) পর্যালোচনা করবে।
২) ব্রিটেনের এক স্বেচ্ছাসেবকের ‘সন্দেহজনক গুরুতর বিরূপ প্রতিক্রিয়া’-র জন্য কোথায় কোথায় ট্রায়াল স্থগিত রাখা হচ্ছে, সে বিষয়ে অবশ্য স্পষ্টভাবে কিছু জা﷽নানো হয়নি। আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশে সেই টিকার হিউম্যান ট্রায়াল চালানো হচ্ছিল।
৩) টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) তরফে বলা হয়, ‘আ💖মরা ব্রিটেনের ট্রায়াল নিয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে আরও পর্যালোচনার জন্য তা স্থগিত রাখা হয়েছে এবং শীঘ্রই আবারও শুরু করার আশা করা হচ্ছে। ভারতীয় ট্রায়াল চলছে এবং আমরা কোনওরকম সমস্যার সম্মুখীন হয়নি।’
১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে পুণের ভারতী বিদ্যাপীঠ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ৩৪ জনকে টিকা দ🍌েওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কারোর কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়নি। গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক মানদণ্ডও স্বাভাবিক আছ😼ে।
৪) ‘ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্স’-এর বিশেষজ্ঞ স্যাম ফাজেলির মতে, যে সংস্থাগুলির নিজেদের করোনা টিকায় অক্সফোর্ডের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, সেগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষাও ধ💛াক্কা খেতে পারে।
‘শোর ক্যাপিটাল’-এর বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম বার্কের আবার বক্তব্য, ‘সম্ভাব্য সুরক্ষাজনিত সমস্যা খতিয়ে দে𝓰খার জন্য অনেক ট্রায়াল স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে স্পষ্টতই এটা হাইপ্🐎রোফাইল গবেষণা। তাই প্রতিটি পদক্ষেপে কঠোর নজর রাখা হয়েছে।’ তিনি জানান, মাঝপথেই স্থগিত হয়ে যাওয়ার ফলে ট্রায়ালের চূড়ান্ত ফল প্রকাশে দেরি হতে পারে। এমনিতে আগামী নভেম্বরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল জানানোর কথা ছিল।
৫) বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা টিকা তৈরির ইঁদুর দৌড়ে সামিল হয়েছে বিভিন্ন দেশ। পর্যাপ্ত পরীক্ষা ছাড়াই রাশিয়া করোনা টিকায় ছাড়পত্র ജদিয়েছে বলে সরব হয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে শুধু রাশিয়া নয়, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পও সেই ‘দৌড়ে’ সামিল হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অক্টোবরের মধ্যেই করোনার টিকা তৈরি হয়ে যেতে পারে।
একইভাবে ভারতেও ১৫ অগস্টের মধ্যে বাজারে কোভ্যাক্সিন ছাড়ার লক্ষ্য নিয়েছিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যা༒ল রিসার্চ (আইসিএমআর)। যদিও তুমুল সমালোচনার মুখে দাবি করা হয়, ট্রায়ালে গতি আনতেই ১৫ অগস্টের ‘সময়সীমা’ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আপাতত কেন্দ্রের তরফে জানানো হচ্ছে, চলতি বছরের শেষের মধ্যে ভারতে করোনার প্রতিষেধক মিলবে।