চিনের নয়া কোভিডের স্রোত আর চার পাঁচটা কোভিড স্রোতের থেকে ঘরানায় অনেকটাই আলাদা🌌। বিশেষজ্ঞরা সতর্কের সুরে বলছেন, কোভিড ‘পিক’ সেদেশে ২ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত থেকে যাবে। চিনের এক নামী এপিডেমোলজিস্ট এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন। উল্লেখ্য, চিনে চন্দ্রবর্ষীয় নববর্ষ উদযাপনের জন্য অনেকেই বাড়িমুখী হয়েছেন করোনার নয়া স্রোতের মধ্যেই। ফলে মনে করা হচ্ছে, এবার চিনের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও কোভিড ছড়িয়ে পড়বে।
বর্ষবরণের যে ছুটির কথা বলা হচ্ছে, সেই ছুটি ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। আর তারপর থেকেই চিনে কোভিডের বড়সড় ‘পিক’ দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ‘চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’এর এপিডেমোলজিস্ট জেন গুয়াং বলছেন, চিনের সবচেয়ে ভয়ানক কোভিড পরিস্থিতি এখনও পার করে আসা হয়নি। উল্লেখ্য, চিন গোটা দেশের জনতার আন্দলনের🧔 মুখে কয়েকদিন আগেই পড়ে যায় লকডাউন ঘিরে। লকডাউন ঘিরে জনতার বিপুল রোষের মুখে পড়ে ‘জিরো কোভিড নীতি’ সরিয়ে চিন ধিরে ধিরে শিথিল করে কোভিডের কড়া বিধি।নভেম্বর জুড়ে সেদেশে প্রবল প্রতিবাদের মাঝে চিন কোভিড নিয়ে নরম মনোভাব নেয়। এরপর থেকেই চিনে হু হু করে বাড়তে থাকে কোভিডের ভয়াল সংক্রমণ। এখানেই শেষ নয়, টানা একটা লম্বা সময় ধরে চিনে কোভিড নিয়ে তোলপাড়ের ফলে সেদেশের জনসংখ্যাতেও প্রভাব 🤡পড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। বহু দম্পতিদের সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়তে চলেছে। এদিকে, কোভিড চিনের গ্রামের দিকে ঢুকলে তার দানবীয় প্রভাব কীভাবে বাড়তে পারে, তা নিয়ে আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, চিনের গ্রামীণ এলাকায় কোনও মেডিক্যাল সুযোগ সুবিধা সেভাবে নেই। ফলত আশঙ্কা বিভিন্নরকমের দিক থেকে রয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভাইরাসকে ঘিরে একটা বড় সংকটের মোকাবিলার পাশাপাশি চিন ধিরে ধিরে স্বাভাবিক জীবন ফেরার চেষ্টা করে চলেছে। ধিরে ধিরে সেদেশ অর্থনৈতিক কাজকর্মের দিকে ফিরছে। সেই জায়গা থেকে, চিনের এই কঠোর কোভিড বিধি শিথিল করার ঘটনা নিঃসন্দেহে সেদেশের পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলেছে। উল্লেখ্য, বিশ্বস্বাস্থ্য👍 সংস্থা এই সপ্তাহেই সতর্ক করেছে চিনকে সম্ভাব্য কোভিডের ঝুঁকি নিয়ে, যা ছুটির সময়ে বেড়ে যেতে পারে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক /💞/htipad.onelink.me/277p/p7me4aup