ডেল্টা প্রজাতির করো🌊নাভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে। এমনই দাবি করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) এক বিশেষজ্ঞ। সংবাদসংস্থা রয়টার্সে একথা জানানো হয়েছে। তাঁর মতে, ভবিষ্যতে মিউটেশনের ঝাঁক তৈরি হতে পারে। অর্থাৎ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কার্যকারিতা হারাতে পারে টিকা। যদিও ওই বিশেষজ্ঞ জানিয়েছে✱ন, গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃৃত্যুর ঠেকাতে এখনও টিকার কার্যকরিতার প্রমাণ মিলেছে।
এমনিতেই ডেল্টা প্রজাতির কারণেই ভারতের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়✅ে পড়েছিল। গত বছর অক্টোবরে ভারতে প্রথম সেই প্রজাতির হদিশ মিলেছিল। পরে একাধিক দেশেও ডেল্টা প্রজাতির (বি.১.৬১৭.২) মিলেছে। সম্প্রতি ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং ইনস্টিটিউট অফ জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজির গবেষকদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডেল্টা (বি.১.৬১৭.২) ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোখা আরও বেশি কঠিন। সেই করোনা প্রজাতির ফলে গুরুতর অসুস্থতার সম্ভাবনাও বেশি। এমনকী টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পরও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
জুনের গোড়ার দিকে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের (পিএইচই) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আলফা ভ্যারিয়েন্টের থেকে ভারতে প্রথম হদিশ পাওয়া ডেল্টার (বি.১.৬১৭.২) ক্ষেত্রে হাসপাতালে বেশি ভরতি হতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, গত ২৭ মে পিএইচইয়ের তথ্য বিশ্লেষণ অনুযায়ী, অন্যান্য প্রজাতির নিরিখে ডেল্টার ক্ষেত্রে করোনা টিকার শুধুমাত্র প্রথম ডোজের কার্যকারিতা অনেকটা কম। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের তথ্য অনুযায়ী, ফাইজারের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ৩৩.২ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। দ্বিতীয় ডোজের পর তা দাঁড়িয়েছে ৮৭.৯ শতাংশে। অন্যদিকে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকার (ভারতে কোভিশিল্ড) ক্ষেত্রে প্রথম ডোজের কার্যকারিতা ৩২.৯ শতাংশ। যা দ্বিতীয় ডোজের পর দাঁড়িয়েছে ৫৯.৮ শতাংশে। সেই বিষয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে ল্যানসেটও। গবেষণাগারে বিভিন্ন করোনা প্রজাতির বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতার পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা ফাইজার-বায়🌳োএনটেক টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন, তাঁদেরও শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, তা আলফা প্রজাতির থেকে ডেল্টাকে ৫.৮ গুণ কম রুখতে পারে।