কুমিল্লায় পুজো মণ্ডপে কোরান রেখে দেওয়ার পর হিংসার ঘটনায় সিটি মেয়রে🦄র পার্সোনাল সেক্রেটারিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সেইসঙ্গে নোয়াখালিতে হিংসার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
বাংলাদেশের একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শনিবার বান্দরবানের সাজেক থেকে কুমিল্লার সিটি🀅 মেয়রের পার্সোনাল সেক্রেটারিকে (পিএস) গ্রেফতার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে কুমিল্লা মহানগর যুবদলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের পরিচয অবশ্য প্রকাশ করতে চাননি কোতোয়ালি থানার ওসি আনোয়ারুল আজিম। তবে তিনি জানিয়েছেন, রবিবার তিনজনকে আদালতে তোলা হয়েছিল। তাদের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তারইমধ্যে সোমবার র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের অধিকর্তা খান্দেকর আল মইন জানিয়েছেন, রবিবার নারায়ণগঞ্জ এবং নোয়াখালি থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হল - মনির হো♕সেন ওরফে রুবেল (২৮), জাকির হোসেন ওরফে রাব্বি (২০), মহম্মদ রিপণ (২১) এবং নাজরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ (৩৬)। তারা চালক বা খালাসির কাজ করত।
উল্লেখ্য, এবারের দুর্গাপুজোর মধ্যে বাংলাদেশের একাধিক মণ্ডপে তাণ্ডব চালানো হয়। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি পুজো মণ্ডপে কোরান শরিফের অসম্মান করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মণ্ডপে ভাঙচুর শুরু হয়। চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিভিন্ন মন্দিরে চালানো হয় হামলা। বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ্যে আসে যাতে দেখা যায় দুর্গা প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে💞 দেওয়া হয়। নোয়াখালিতে ইসকনের মন্দিরে তাণ্🌊ডব চালানো হয়। প্রাণহানিরও সাক্ষী থাকে নোয়াখালি। রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ায় ২৯ টি বাড়িয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।