দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে ২৭ বছর পর সেখানে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। তবে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা জারি আছে। সরকারের শপথগ্রহণ কবে হবে, তা নিয়েও এখনও সরকারি ভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তবে জানা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র🎐 মোদী আমেরিকা সফর শেষে দেশে ফিরলেই সরকার গঠন এবং শপথগ্রহণ হতে পারে। ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ভারতে ফিরে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। এই আবহে দিল্লিতে কবে হতে পারে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান? এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন এক 𒐪বিজেপি নেতা।
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজৌরি গার্ডেন কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মনজিন্দর সিং সিরসা পরোক্ষ ভাবে দাবি করেছেন, আগামী ১৯ বা ২০ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী পদের জল্পনা এখনও বজায় রয়েছে। উল্লেখ্য, মনজিন্দর নিজে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে আছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী না হলেও অন্তত মন্ত্রী হবেন বলে আশা করা হচ্ছ✅ে। তিনি বলেন, নয়া সরকার প্রাথমিক ভাবে স্বচ্ছ পানীয় জল সরবরাহ, পরিকাঠামোগত উন্নয়নের মতো বিষয়গুলিকে অꦓগ্রাধিকার দেবে। মনজিন্দর বলেন, '১৯ বা ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকার কাজ শুরু করে দেবে।' এর থেকেই মনে করা হচ্ছে, ১৯ বা ২০ তারিখেই শপথ নিতে পারেন দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রীরা।
মনজিন্দর জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার জন্যে পরিষদীয় দলের যে বৈঠক হবে, তার জন্যে পর্যেক্ষক নিয়োগ করা হবে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেই। এদিকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে দলের মধ্যে কোনও 'দ্বন্দ্ব' রয়েছে কি না প্রশ্ন করা হলে তা হেসে উড়িয়ে দেন লক্ষ্মীনগরের বিধায় অভয় বর্মা। তিনি দাবি করেন, এই ধরনের খবর মিডিয়ার তৈরি। তিনি বলেন, 'দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্যে কোনও দৌড় চলছে না। আমাদের দলে মুখ্যমন্ত্রী বাছাই হয় বিধায়কদের বৈঠকে।' উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রিত্বের অন্যতম দাবিদার হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে অভয়কে। তিনি দ্বিতীয়বারের বিধায়ক। তিনি একজন পূর্𓃲বাচলী। এদিকে বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, দিল্লি সরকারের প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালুর বিষয়টিতে অনুমোদন দেওয়া হবে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ৬ বারের বিজেপি বিধায়ক মোহন সিং বিস্ত জানান, দলের নির্বাচিত ৪৮ জন বিধায়কের মধ্যে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এবারের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৪৮টি আসনে জিতেছে বিজেপি। প্রতিপক্ষ আম আদমি পার্টির ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ২২টি আসন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে নয়াদিল্লি 🧔আসন থেকে হেরেছেন।