ত্রিপুরার বিতর্কিত জেলাশাসক শৈলেশ কুমারকে সরিয়ে দিল ত্রিপুরা সরকার। করোনা আবহে বিয়ে ঠেকাতে গিয়ে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরই চাপের মুখে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চান অভিযুক্👍ত জেলাশাসক।
রাজ্যের মুখ্য সচিব ম🦩নোজ কুমারকে লেখা এক চিঠিতে শৈলেশ কুমার যাদব দাবি করেন যাতে তাঁকে জেলাশাসকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। তাঁর যুক্তি, যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে তাই তাঁর সেই প♕দে থাকা বাঞ্ছনীয় নয়।
শৈলেশ যাদব লেখেন, 'ত্রিপুরা সরকার আমার বিরুদ্ধে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে। গত ২৬ এপ্রিল রা🅠তের ঘটনার প্রেক্ষিতে এই তদন্ত হবে। আগরতসার গোলাপ বাগান এবং মাণিক্য কোর্টে অনুষ্ঠিত হওয়া বিয়ের অনুষ্ঠানের জেরে রাত্রিকালীন কার্ফুর নিয়ম ভঙ্গ হয়। এর বিরুদ্ধে আমি পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। এই ঘটনায়💃 যাতে নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব হয় তাই আমি আমাকে পশ্চিম জেলার জেলাশাসক এবং কলেক্টরের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুরোধ করছি।'
চিঠির কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে রাজ্যের আইনমন্ত্রী রতন লাল বলেন, 'মুখ্য সচিব পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন এবং শৈলেশ কুমার যাদবকে সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েꦅছে। আপাতত পশ্চিম জেলার জেলাশাসকের দায়িত্বে থাকবেন শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের পরিচালক রাভেল হামেন্দ্র কুমার।'
এর আগে আগরতলায় অনুষ্ঠিত হওয়া দু🐻টি বিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন গ্রেফতারের𝕴 নির্দেশ দেন জেলাশাসক। পাশাপাশি ওসিকে সাসপেনড করা হয়। ভাইরাল হয় একটি ভিডিয়ো। জেলাশাসকের আচরণ ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। জেলাশাসকের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে চিঠি লেখেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এরপরই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রিপোর্ট তলব করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।