বাংলা নয়, বিহারের ভাগলপুর জেলার ঘটনা। সরকারি মেডি🥀ক্যাল কলেজে চিকিৎসকরা এক মহিলার সিজার করেছিলেন।এরপর তাঁরা কার্যত ভুল করেই পেটের মধ্য়ে তুলো রেখে দিয়ে সেলাই করে দেন। এদিকে অপারেশনের পর থেকেই ওই মহিলার পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। তারপর তাঁর পেটের ইউএসজি করা হয়। একটি প্রাইভেট নার্সিংহোমে তাঁর পেটের ইউএসজি করা হয়েছিল। সেখানেই বোঝা যাওয় যে পেটের মধ্য়ে তুলোর বান্ডিল রয়ে গিয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
সূত্রের খবর, গর্ভবতী অবস্থায় প্রিয়াঙ্কা কুমারীকে ভাগলপুরের জওহরলাল নেহে𝔉রু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত ১৯ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। এরপর সেখানেই তাঁর সিজার করা হয়। এরপর তিনি এক পুত্ꦯর সন্তানের জন্ম দেন। হাসপাতালেই বাচ্চা হয়েছিল তাঁর। ২৬ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় ওই মহিলাকে। কিন্তু পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। এরপর তিনি ফের হাসপাতালে যান। সেখানে পেটের সেলাই ঠিকঠাক আছে কি না সেটা দেখা হয়। কিন্তু তারপরেও যন্ত্রণার কারণ বোঝা যায়নি।
এরপর পরিবারের লোকজন মহা সমস্যায় পড়ে যান। তাঁরা এরপর ওই মহিলাকে একটি বেসরক꧂ারি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর অপারেশন করা হয়। এরপর তাঁকে ইউএসজি করার জℱন্য বলা হয়। ইউএসজি করার পরে দেখা যায় তাঁর পেটের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু রয়েছে। তারপর ফের তাঁর অপারেশন করা হয়। পেট থেকে বের করা হয় তুলোর বান্ডিল।
পরিবারের দাবি, মহিলার অপারেশন করে পেট থেকে তুলোর বান্ডিলটি ব✱ের করা হয়। মূলত ওই তুলো পেটে থেকে যাওয়ার জেরেই অন্ত্রের মধ্যে যন্ত্রণা হচ্ছিল। তবে পেট থেকে সেটি বের করার পরে আপাতত যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলেছে। তবে প্রশ্ন উঠছে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা এতটা উদাসীন হলেন কীভাবে? কার্যত তাঁদের গাফিলতির জেরেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন ওই মহিলা। তবে তিনি শেষ পর্𒊎যন্ত চিকিৎসকদের তৎপরতায় বেঁচে গিয়েছেন।