একটি ইউএপিএ (বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন) মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ মন♌্তব্য করল বম্বে হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র ইন্টারনেট থেকে কমিউনিস্ট বা নকশাল সাহিত্য ডাউনলোড করা বা দর্শনের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ইউএপিএ আইনের অধীনে অপরাধ গঠন করে না। আদালত বলেছে, সাহিত্য ছাড়াও অভিযুক্তকে হিংসা এবং সন্ত্রাসবাদের নির্দিষ্ট ঘটনার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য প্রমাণ প্রয়োজন। তবেই ইউএপিএ আইনের ১৩, ২০ এবং ৩৯ ধারার অধীনে সেটি অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। এই পর্যবেক্ষণ করে সন্ত্রাসবাদ এবং দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যাপক জিএন সাইবাবা এবং অন্য ৫ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে বিচারপতি বিনয় যোশী এবং বাল্মিকি মেনেজেসের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুনঃ ‘তিন বছরের মধ্যে নকশাল মুক্ত হবে দেশ’, অসমে দাঁড়িয়ে বড় ঘ🏅োষণা করলেন অমিত শাহ
ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘একজন নাগরিক ইন্টারনেট থেকে এই ধরনের কন্টেন্ট 𒈔ডাউনলোড করলে বা দর্শনের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করলে তা অপরাধ হবে না। ইন্টারনেট থেকে একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শ বিশিষ্ট সামগ্রী ডাউনলোড করা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে না। সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত যে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত তার প্রমাণ থাকা প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য, বিশেষভাবে সক্ষম অধ্যাপক সাইবাবাকে মাওবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২০১৪ সালের ৯ মে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ২০১৭ সালে সাইবাব♊া সহ ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। পরবর্তীকালে ২০২২ সালে বম্বে হাইকোর্ট তাকে বেকসুর খালাস দেয়। তবে, গত বছর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্ত হয় মহারাষ্ট্র সরকার। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি আবার বম্বে হাইকোর্টে ফেরত পাঠায়। মঙ্গলবার আবারও সমস্ত অভিযুক্তকে খালাস দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। এদিকে, অধ্যাপক সাইবাবা ৩৫৮৮ দিন জেলে কাটিয়েছেন।
মঙ্গলবার নাগপুর বেঞ্চের এই রায় ঘোষণার পরপরই রাজ্যের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল বীরেন্দ্র সরফ হাইকোর্টেরꦺ কাছে রায় স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। আদালত জানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক উপাদান নেই।তাই এই আবেদন মঞ্জুর করা যাবে না। এই রায়ের পরে মহারাষ্ট্র সরকার মঙ্গলবার আবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায়।