মাদকে আসক্ত মেয়ে। কোনওভাবে সত্যিটꦆা জানতে পেরেছিলেন মা। সত্যিটা ধামাচাপা দিতেই মাকে খুন, সৎ বাবাকে গুলি করতেও পিছপা হল না মেয়ে। সেই ভিডিয়ো ফুটেজও ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সম্প্রতি, মিসিসিপিতে ঘটে গিয়েছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মেয়েটির নাম কার্লি গ্রেগ। বয়স তার মাত্র ১৫ বছর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে কার্লির মা অ্যাশলে স্মাইলি, একজন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। কার্লির শরীরের অবস্থা সম্পর💃্কে চিন্তিত এক এক বন্ধু অ্যাশলেকে, কার্লির ড্রাগ নেওয়ার কথা জানায়। এরপর অ্যাশলে কার্লির ঘরে একটি ভেপ পেন খুঁজে পান। তারপরেই নৃশংস কাজটি করে মেয়েটি🍸।
আরও পড়ুন: (Tinder Scﷺam: ডেটিং অ্যাপের বন্ধু মহিলার কাছ থেকে হাতিয়ে নিল ৩.৩৭ লা💃খ, সতর্ক করল ব্যাঙ্ক, তারপর…)
ফুটেজে কী দেখা গিয়েছে
💞খুনের ঘটনার পর, কার্লির ট্রায়ালের আদালতে পেশ করা ফুটেজেই দেখা গিয়েছে যে ঠিক কতটা ঠাণ্ডা মাথায় নৃশংস কাজটি করেছে কার্লি। বাড়িতে তখন কেউ ছিল না। ধীর পায়ে মায়ের বেডরুমের দিকে হেঁটে যায় সে। পোষ্য কুকুরগুলো ততক্ষণে বিপদের আভাস পেয়ে ছোটাছুটি শুরু করেছে। তার মধ্যেই বেডরুম থেকে ভেসে আসে কাতর চিৎকার। এইভাবেই কার্লি তার মা, অ্যাশলে স্মাইলিকে🌊 খুন করেন।
꧅পরবর্তী পদক্ষেপ করতেই দেরি করেনি একেবারেই। রান্নাঘরে ফিরে এসে, মায়ের ফোন থেকেই সৎ বাবা হিথ স্মাইলিকে মেসেজ পাঠায়। প্রসিকিউটরদের মতে, টেক্সটটিতে লেখা ছিল, 'তুমি কখন বাড়িতে আসবে, সোনা?' এরপর হিথ এলে, তাঁর দিকেও বন্দুক উঁচিয়ে গুলি চালাতে যান। যদিও বাবা তড়িঘড়ি কার্লির হাত ধরে ফেলেন। প্রাণ বেঁচে গিয়েছে তাঁর। আহত হন কিছুটা। কাঁধে গুলি লেগেছিল বলে জানা গিয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাটি রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন: (Bihar Fake IPS: ২🧸 লক্ষ টাকার বিনিময়ে আইপিএস! বিহারের 'প্রতারিত' ত🌜রুণের পাশে নেট নাগরিকরা)
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ অ্যান্ড্রু ক্লার্ক বলেছেন যে এই 💞হত্যাকাণ্ডের দিন কার্লির মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক ছিল না। ডাঃ ক্লার্ক বলেন, কার্লি ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন, কণ্ঠস্বর শুনতে পাওয়ার সময় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। বাস্তবতা থেকে সে সংযোগ হারিয়ে ফেলত। তার মানসিক পরিস্থিতি আরও খারাপ জায়গ🔜ায় পৌঁছে গিয়েছিল। ডাক্তার আরও উল্লেখ করেছেন যে যখন তার মা জানতে পেরেছিলেন যে কার্লি মাদকে আসক্ত, এটি মেয়েটির জন্য আরও বড় সংকটে পরিণত হয়েছিল। কারণ মা তাকে এমনটাই করতে দিতে চাননি। তাই সে হয়ত এমন মর্মান্তিক কাণ্ড ঘটিয়েছে।
এদিকে আবার কার্লির সৎ বাবা হিথ স্মাইলি আদালতে 🌜সাক্ষ্য দিয়েছেন যে শুটিংয়ের কথা মনে নেই কার্লির। সৎ বাবার চোখে, কার্লি মিষ্টি ছোট একটি মেয়ে। 🌸তিনি আরও বলেছেন যে আমি কার্লির মতো এমন কাউকে সিনেমাতেও দেখিনি। সে আমাকে চিনতেও পেরেছে বলে মনেও হয় না।
প্রসঙ্গত, কার্লি গ্রেগের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যার চেষ্টা এবং প্রমাণ বিলোপ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে, কার্লিকে হত্যার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অন্যান্য অভিযোগের জন্য অতিরিক্ত ৩০ বছর যাবজ্জী𓃲বন কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে।