অসমে একটি উচ্ছেদ অভিযা꧙নকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিত꧅ি তৈরি হল। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল উত্তেজিত জনতা। যারফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জের পাশাপাশি গুলি চালায়। তাতে দু’জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন পুলিশ কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের কামরূপ জেলার সোনাপুর সার্কেলের কচুতলি গ্রামে। এছড়াও, পুলিশের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই পরিস্থিতির জন্য কংগ্রেসকে দায়ি করেছেন। নিহত দুজনের নাম হল জুবাহির আলি এবং হায়দার আলি।
আরও পড়ুন: মালপত্র সরানোর সুযোগ না দিয়েই রাতে নিউটাউ𓆉নে বুলডোজার দিয়ে ভাওঙা হল দোকান
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে বাংলাভাষী মুসলিম গ্রামবাসীদের উচ্ছেদ করতেꩵ গিয়েছিল পুলিশ। অভিযোগ উঠেছিল, সরকারি জমি দখল করে তাঁরা সেখানে থাকছিলেন। এর আগেও তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে হয়েছিল। ক💞িন্তু, আবার সেই জমি দখল করে নেন তাঁরা। সেই অভিযোগে বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান চালায় পুলিশ। সঙ্গে ছিলেন রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকরা।
সেইসময় পুলিশ এবং আধিকারিকদের সঙ্গে প্রথমে বচসায় জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে গ্রামের মহিলা-সহ পুরুষরা ধারালো অস্ত্র, লাঠি, পাথর দিয়ে আধিকারিক এবং পুলিশের উপর হামলা চালায়। তাতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট-সহ ২০ জনের বেশি পুলিশকর্মী আহত হন। ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্𒆙রণে আনতে প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও পরে গুলি চালায়। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন গ্রামবাসী। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গ্রামে আরও প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
এই ঘটনার জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বশর্মা বলেন, ’উচ্ছেদ অভিযান শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছিল। তবে সকালে কংগ্রেস উচ্ছেদ অভিযানের বিরোধিতা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিপুল সংখ্যক মানুষ লাঠিসোটা, বাঁশ নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। তখন বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ♑ করে এবং গুলি চালাতে বাধ্য হয়। আহত আধিকারিকদের মধ্যে রয়েছেন সোনাপুর সার্কেল অফিসার নিতুল খাতানিয়ার, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (পূর্ব) মৃণাল ডেকা, সোনাপুর থানার ওসি হীরক জ্যোতি সাইকিয়ারা। এলাকায় এখনও উত্তেজনা পূর্ণ পরিস্থিতি থাকায় বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে।