আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। সেই রাশিয়ার সফরে সদ্য গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর এই কূটনৈতিক সফরে নরেন্দ্র মোদীকে, রাশিয়া সেদেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ দ্য অর্ডার অফ সেন্ট অ্যান্ডিউজ দ্য অ্যাপোস্টেল’ প্রদান করে। এছাড়াও মোদী-পুতিনের মুখোমুখি বৈঠক হয়। ইউক্রেꦫনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের মাঝে মোদীর রুশ সফর ঘিরে পর পর ঘটনা পরম্পরার দিকে নজর ছিল আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বের। প্রধানমন্ত্রী মোদীর রুশ সফরের পর এবার ভারতে অবস্থিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি খুললেন মুখ।
এক অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি বলেন,'আমি জানি এবং আমি সম্মাꦚন করি যে ভারত তার স্বকীয় শাসন পছন্দ করে। তবে সংঘাতের সময় স্বকীয় শাসন বলে কিছু হয় না। সংকটের মুহূর্তে আমাদের একে অপরকে জানতে হবে। আমরা এটিতে কী শিরোনাম রাখি তা আমি চিন্তা করি না, তবে আমাদের জানতে হবে যে আমরা বিশ্বস্ত বন্ধু, ভাই এবং বোন এবং প্রয়োজনের সময়ে সতীর্থ।' রাশিয়ায় মোদীর সফরের পরই মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই বার্তা কূটনৈতিক পিচে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে, হোয়াইট হাউস সাফ বার্তায় বলেছিল, পুতিনকে যুদ্ধ রুখতে একমাত্র আর্জি জানানোর জন্য সমর্থ ভারত। তারপরই রা꧟শিয়ার সফর নিয়ে আমেরিকার তরফে এল এই বার্তা।
উল্লেখ্য, মোদী-পুতিন আলিঙ্গনে আমেরিকা যে খুব একটা স্বস্তিতে রয়েছে তা নয়। ভোটমুখী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মস্কোর সঙ্গে দিল্লির সখ্যতা চিনেরও নজরে রয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার মস্কোয় পা রাখেন মোদী। সেদিনই ইউক্রেনের শিশু হাসপাতালে রাশিয়া মিসাইল হামলা চালায়। তবে পুতিনের সঙ্গে মোদী আলিঙ্গন করলেও, রাশিয়ায় বসে পুতিনকে কার্যত মুখের ওপর মোদী বলে এসেছেন, নিরাপরাধ শিশুদের হত্যা হৃদয়ে বিঁধে যাওয়ার মতো ঘটনা। রুশ রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে মোদী সাফ জানান, যুদ্ধক্ষেত্র কোনও স💧মাধানের রাস্তা নয়। তবে মোদী-পুতিনের শরীরী ভাষায় মার্কিন মুলুকের স্বস্তি যে ছিল না, তা বলাই বহুল্য। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারত আমাদের কৌশলগত বন্ধু। রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সম্পর্কের চরিত্র-সহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা তাদের সঙ্গে চালিয়ে যাব। তবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে দিল্লি স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে। ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কাওত্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকেই পুতিন ও জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন যে যুদ্ধ ক্ষেত্রে সমাধান হবে না। খুব কম দেশই পুতিনকে এই বার্তা দিয়েছে। তবে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষকেই। ’