রুচির কুমার
আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার ভুয়ো কার্ড নিয়ে চিকিৎসা করানোর অভিযোগ দুই রোগীর বিরুদ্ধে। পটনার অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (AIIMS) তারা এই কার্ড দেখিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। আর সেই ভুয়ো কার্ড দেখিয়꧋ে তারা সরকারের সঙ্গে অন্তত ২ লাখ টাকা প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ। রাজ্যের স্বাস্থ্যে দফতরের আধিকারিকরা পরে বুঝতে পারেন ওই কার্ডগুলো আসলে ভুয়ো। হিন্দুস্তান টাইমসের অন্তর্তদন্তমূলক খবরেও একথা সামনে এসেছে।
বিহার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সমিতির চিফ এক্সিไকিউটিভ অফিসার অলংকৃতা পান্ডে জানিয়েছেন, দুটি কার্ডই ভুয়ো। যে এজেন্সি এই কার্ডগুলি ইস্যু করেছিল তাদের খোঁজ করা হচ্ছে♏।
২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। তারপর থেকে এই প্রথম 🦩এই ধরণের প্রতারণার সন্ধান মিলল। এক আধিকারিকের মতে, ওরা আধার ভিত্তিক বায়োমেট্রিক সিস্টেমকে কোনওভাবে পাশ কাটিয়ে অন্যান্য চিকিৎসাও করিয়ে ফেলেছেন।
৩৬ বছর বয়সি অবিনাশ কুমার তিনি বক্সার নগর পরিষদে কর্মরত। হার্টের ডবল ভাল্ভ প্রতিস্থাপনের জন্য তিনি ভর্তি হয়েছিলেন। আর ৫৮ বছর বয়সি ♋ভোজপুরের এক কৃষক অশোক কুমার সিং। তার পেটের সমস্যা। দুজনেই ভর্তি হয়েছিলেন এইমসে।
অশোক কুমার সিংয়ের♛ ক্যান্সার হয়ꩵেছিল। তিনি ২২ মে মারা যান।অবিনাশ কুমার ভর্তি ছিলেন ১৫ নম্বর বেডে।
অবিনাশের ছেলে ভিকি কুমার জানিয়েছেন, আমরা ৩০,০০🥃০ টাকা দিয়ে দিয়েছি। তারপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পিএমজেএওয়াই থেকে বদলে বাবাকে সাধারণ ক্যাটাগরি করে দিয়েছে। এখন বলছে কার্ডটা ভুয়ো। কিন্তু ভুয়ো কার্ডে কীভাবে আগে ১,৮৪ লাখ টাকার চিকিৎসা করালো?
দেখা যাচ্ছে রেশন কার্ডের নাম ছবির সঙ্গে আধার কার্ড মিলছে না। অন্যদিকে অশোক কুমার সিং🥂য়ের ছেলে লালু কুমারের দাবি বাবা আর নেই। ওই কার্ড ব🉐্লক করে আর কী হবে?
তবে বিহার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সমিতি অবশ্য় আগেই ওই রোগীদের ভর্তির বিষয়টিতে অনুমোদন দিয়েছিলেন। অবিনাশ কুমারের জন্য ২.২৬ লাখ টাকা ও অশোক কুমারের জন্য ১৫,৯৫০ টাকা দিয়েছিল। তবে এবার এই ভুয়ো কার্ড কীভাবে এল, কারা জড়িত এর সঙ্গে, কেন আগেই ত🌱া ধরা পড়ল না, সর্ষের মধ্যে ভূত রয়েছে কি না এনি✃য়ে রীতিমতো খোঁজখবর শুরু করেছেন আধিকারিকরা।