ফল ও সবজি ফলাচ্ছেন কৃষকেরা, লাভের গুড় খেয়ে যাচ্ছেন অন্যরা। দেশে অথচ কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা বলা হচ্ছে🐲। আসল ছবিটা অন্য। এরই মধ্যে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জারি করা গবেষণা পত্র কৃষকদের আয় বাড়ানো নিয়ে হাজারও প্রশ্ন তুলে বসেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গবেষণা করে দেখেছে, যে দামে ফল এবং সবজি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছোয়, তার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ পেয়ে থাকেন ভারতীয় কৃষকরা।
কৃষি ও উদ্যানপালন থেকে দুগ্ধ খাতেও একই সমস্যা দৃশ্যমান
- আর ফল ও সবজি বিক্রি করে যে বড় অঙ্কের মুনাফা হয়, তার বড় অংশ যায় পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। এ কারণেই কৃষকরা আয়ের খুব কম অংশ পান।
- কৃষকরা দুগ্ধজাত পণ্যের চূড়ান্ত মূল্যের মাত্র ৭০ শতাংশ পান।
- তবে এ ক্ষেত্রে ডিম উৎপাদনকারীদের পকেটে ভালো অংকের টাকা আসে। ডিম উৎপাদনকারীরা বিক্রির ৭৫ শতাংশ পেয়ে থাকেন।
- আবার, পোল্ট্রি খামারিরা মুরগির খুচরা বিক্রয় মূল্যের মাত্র ৫৬ শতাংশ নিজেদের জন্য রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: (Haryana Vote Cou𒈔nting 2024: 🌜ভোটের রেজাল্ট আপডেট করছে না কমিশন, পিছিয়ে পড়তেই দাবি কংগ্রেসের, হাসছে বিজেপি!)
সবজির দাম বাড়লেও কৃষকদের কোনও লাভ হয় না
আরবিআই-এর গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বছরে একবার কিংবা বা দু'বার, আবহাওয়া বা অন্যান্য কারণে, টমেটো, পেঁয়াজ বা অন্যান্য সবজির দাম বেড়ে যায় ব্যাপক হারে। এ সময় স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতাদের অনেকটা বেশি দামে সবজি কিনতে হয়। বলা হয়, চাষবাসের অবস্থা খারাপ। তাই দাম বাড়ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত যারা এই ফলনের পিছনে অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন, সেই কৃষকেরা কিন্তু এই বর্ধিত দামের একটুও সুফল🍸 পান না। তাঁদের 🥂আয়ও বাড়ে না। বাড়লেও খুব কম শতাংশ।
বর্ধিত দামের কত শতাংশ কৃষকের পকেটে আসে
গবেষণায় দেখা গিয়েছে,
- কৃষকরা টমেটোর খুচরা মূল্যের মাত্র ৩৩ শতাংশ পান।
- পেঁয়াজের খুচরা মূল্যের মাত্র ৩৬ শতাংশ পান।
- আলুর বর্ধিত দামের মাত্র ৩৭ শতাংশ পেয়ে থাকেন।
ফলচাষিদের আরও করুণ অবস্থা
এদিকে বিভিন্ন ফলের ক্ষেত্রে বাজারে দাম বেশি হলেও কৃষকের কপালে জোটে ওই ৩০ শতাংশের আশেপাশে। কলা চাষিরা কলার খুচরা মূল্যের মাত্র ৩১ শতাংশ পেয়ে থাকেন। আঙুর চাষিরা পান👍 মাত্র ৩৫ শতাংশ। আঙুরের ক্ষেত্রে তো বাজার দর বেশি হলেও সুফল কৃষকের কাছে পৌঁছোয় না। আম চাষিরা যদিও একটু বেশি পান। তা হল খুচরো মূল্যের মাত্র ৪৩ শতাংশ।
বলা বাহুল্য, কৃষি বিশেষজ্ঞ অশোক গুলাটির এই সমীক্ষায়✤ কৃষি পণ্যের দাম বৃদ্ধি বন্ধ করার উপায়ও প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে একটি সাধারণ ব্যালেন্স শীট পদ্ধতি ব্যবহার করে এই মূল্য বৃ♛দ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া যেতে পারে।
- টমেটোর মতো সবজির দাম বৃদ্ধি রোধ করতে, গবেষণাটি কয়েকটি পদক্ষেপের পরামর্শ দেয়:
১. প্রাইভেট মার্কেট (মান্ডি) প্রসারিত করুন।
২. অনলাইন বাজার পোর্টাল, ই-নাম ব্যবহার করুন।
৩. কৃষকদের দ꧙লকে উৎসাহিত করুন, চাষের আরও উন্নত দিক শেখান।
৪. ফিউচার ট্রেডিং পুনরায় শুরু করুন।
এটি আরও কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ, সৌর-চালিত স্টোরেজ ব্যবহার, প্রক্রিয়াজাত উদ্ভিজ্জ পণ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। ফসলের জাত উন্নত করা এবং পলিহ🍌াউস ফার্মিং ব্যবহার করা, সরবরাহ এবং দাম স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করতে পারে। স্বল্পমেয়াদী সাহায্যের জন্য, সরবরাহ এবং চাহিদার উপর ভিত্তি করে বাণিজ্য নীতি সামঞ্জস্য করলে, দাম স্থিতিশীল রাখা যেতে পারে।
- দুধ, মুরগি এবং ডিমের জন্য, গবেষণাটি পরামর্শ দেয়:
১. সস্তা খাবারের জন্য একটি ফিড ব্যাংক তৈরি করা।
২. ঘাসের জন্য খালি জমি ব্যবহার করা।
৩. উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য পশুপালনে যত্ন রাখা।
- ফলের জন্য, এই উপায় প্রস্তাব করা হয়েছে:
১. স্টোরেজ এবং পরিবহন উন্নত করা।
২. বিভিন্ন ধরনের ফলের প্রচার।
৩. ফসল বীমা অফার।
৪. প্রক্রিয়াকরণ এবং রপ্তানি বৃদ্ধি।
৫. চাহিদা মেটাতে আমদানি শুল্ক সামঞ্জস্য করা।
৬. পণ্য সরবরাহ ট্র্যাক করত💞ে এবং দাম যাতে না বাড়ে, তা বজায় রাখতে ডিজিটাল টুল ব্যবহার ক🔯রা।