কাজে দিল না জল কামান আর কাঁদানে গ্যাস। সরকারি বাধা তুচ্ছ করে বৃহ꧟স্পতিবারও হরিয়ানার প্রতিবাদী কৃষকদের বিক্ষোভ ম♐িছিল দিল্লির পথে এগিয়ে চলল।
বিক্ষোভকারীদের আটকাতে 💮৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ১৫ কিমি রোধ করে কারনাল🐈 জেলা প্রশাসন। কারনাল থেকে তারোরি শহর পর্যন্ত সড়কের উপরে তৈরি করা হয় ব্যারিকেড, দাঁড় করানো হয় ট্রাক এবং হাজার হাজার গাড়িকে লিংক রোডে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এর জেরে রম বিপাকে পড়েন যাত্রীরা, যাঁরা দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে জাতীয় সড়কের উপরে অসহায় দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন।
কৃষকরা অবশ্য এই বাধা পেরোতে মাত্র ১০ মিনিট ෴সময় নেন। কারনাল শহরের ৫ কিমি দূরে কারনা লেকের উপরের সেতুতে দাঁড় করানো ট্রাকের সারির ফাঁক গলে তাঁদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান অব্যাহত থাকল। পরে বিক্ষুব্ধদের বস্তারা টোল প্লাজায় ফের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ, কিন্তু ব্যারিকেড সরিয়ে, ট্রাক অতিক্রম করে এগিয়ে যায় পদযাত্রা।
এর আগে কারনালের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার নিশান্ত কুমার যাদব এবং পুলিশ সুপার গহ্গা রাম পুনিয়া জানিয়েছিলেন, তাঁরা বিক্ষুব্ধ কৃষকদের ব্যারিকেড পেরোতে দেবেন না। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে পুলিশকে বোবাꦍ দর্শক হয়েই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পরে নিশান্ত কুমার বলেন, ‘যে সমস্ত কৃষক ব্যারিকেড সরিয়েছেন ও আইন লঙ্ঘন করেছেন, তাঁদের বিরু𒀰দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ দিন সন্ধౠ্যায় কৃষকদের পদযাত্রা পানিপত টোল প্লাজায় পৌঁছে যায়। জানা গিয়েছে, পুলিশ করহন্স গ্রামের কাছে কৃষকদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। বিক্ষুব্ধ কৃষকদের সংগঠন বিকেইউ-এর (চারুনি) প্রধান রাকেশ বাইন্স হিন্দুস্তান টাইমস-কে জানান, ‘রাতে আমরা পানিপত টোল প্লাজায় থাকব এবং শুক্রবার সকালে ফের বিক্ষোভ মিছিল শুরু করব।’
পাশাপাশি, পঞ্জাবের বিক্ষুব্👍ধ কৃষܫকরা আম্বালা পেরিয়ে কুরুক্ষেত্র জেলায় এসে পৌঁছেছেন এবং পানিপত টোল প্লাজাতেই তাঁরা হরিয়ানার কৃষক মিছিলে যোগ দেবেন।
অন্য দিকে, ব্যারিকেড ভেঙে তাঁর বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্র কারনালে এসে পৌঁছানোর পরে বিক্ষুব্ধ কৃষক এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর🌱 সিংয়ের উদ্দেশে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর টুইটারে বার্তা দিয়েছেন, ‘ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংজি, আপনাকে আগেও বলেছি আর এখনও বলছি, এমএসপি (ন্যূনতম সমর্থন মূল💧্য) নিয়ে কৃষকরা যদি কোনও সমস্যায় পড়েন, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। তাই দয়া করে সরল কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে উস্কানি দেবেন না।’