কয়লাশিল্পে ১০০% এফডিআই-এর বিরোধিতা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপ𒐪াধ্যায়। তাঁর যুক্তি, এই নীতি দেশের আত্মনির্ভর হওয়ার সংকল্পের পরিপন্থী। তা ছাড়া, ইদানীং বিশ্বজুড়ে বিকল্প শক্তির অন✃ুসন্ধানের মাঝে এই পদক্ষেপ অসময়োচিত।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে মমতা💙 আরও জানিয়েছে যে, কোল ইন্ডিয়ার অধীনস্থ চার সংস্থার ডেস্ক অফিস কলকাতা থেকে সরিয়ে তাদের প্রধান দফতরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ভ্রান্ত।
চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘এই নীতি এফডিআই বা নতুন প্রযু🧔ক্তিগিত প্রয়োজনীয় কৌশল𝐆, কোনওটাই আনতে পারবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা কয়লা খনির বদলে বিকল্প শক্তির প্রতি বেশি আগ্রহী। তথ্য বলছে, অন্তত ১০০টি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী সংস্থা তাদের কয়লাখনিতে রগ্নি প্রত্যাহার করেছে। এই কারণে কয়লা শিল্পে এফডিআই আনার চিন্তা অবাস্তব।’
২০১৯ সালে কয়লা শিল্পে খ🍌ুচরো বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন করার সিদ্ধান্ত ♕নেয় কেন্দ্র।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম কয়লা খনন সংস্থা কোল ইন্ꦡডিয়া যখন ৮০% উৎপাদন বছরে কর-সহ ২৭,০০০ কোটি টাকা লাভ করছে এবং ৩১,০০০ কোটি টাকার কয়লা মজুত রাখছে, সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের এই শিল্পে খুচরো বিদেশি বিনিয়োগ টানা ভারতীয় সংস্থারই অপমান।’
এ ছাড়াও মমতা লিখেছেন, ‘সম্প্রতি আচমকা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, কলকাতা থেকে কোল ইন্ডিয়ার ꦫচার শাখা সংস্থা ভারত কোকিং কোল লিমিটেড(বিসিসিএল), সেন্ট্রাল কোলফিল্ডস লিমিটেড (সিসিএল), সাউথ ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড (এসইসিএল) এবং মহানদী কোলফিল্ডস লিমিটেড-এর (এমসিএল) দফতর সরিয়ে তাদের প্রধান দফতরে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত কর্মী-সহ কয়লা শিল্পের সঙ্গে জড়িত সকলেরই প্রবল অসুবিধা সৃষ্টি করবে। লকডাউন পরিস্থিতির মাঝে ৩০ জুনের মধ্যে এই দফতরগুলি সরানোর নির্দেশও অবিবেচনার উদাহরণ বিশেষ।’
মমতার দাবি, এর ফলে কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দা কর্মীদের রোজগার হারানোর সম্ভাবনা দেখা দেবে। তা ছাড🍌়া, কোল ইন্ডিয়ার চার শাখা সংস্🍌থার একই শহরে দফতর থাকায় তাদের কাজে সমন্বয় ঘটাতেও সহায়ক হয় বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন নেত্রী। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, বর্তমান অবস্থান থেকে ওই চার সংস্থার দফতর স রিয়ে নেওয়া হলে বাংলার অর্থনীতির উপরে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এই ব🍨িষয়ে রাজ্য বিজেপি সজাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, ‘কয়লা শিল্পে খুচরো বিদেশি বিনিয়োগ হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি তলানিতে ঠেকেছে। এখানে কেউ কাজ করতে চায় না। সব দফতরেই এখন রাজনীতির আখড়া হয়ে উঠেছে। এই কারণেই এখান থেকে দফতর তুলে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল, কিন্তু স্থানীয় রাজনৈত𒉰িক দলগুলি তা আটকে দিয়েছিল। এর পরেও রাজ্যে কর্মসংস্কৃতির কোনও উন্নতি হয়নি এবং তার জেরে কয়লাশিল্প রুগ্ন হয়ে পড়ছে।’