ফোর্বসের বিলিয়নেয়ারদের তালিকায় ফের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন গৌতম আদানি। আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবং লুই ভিটনের প্রধান বার্নার্ড আর্নল্টকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহে সাময়িকভাবে দ্বিতীয় স্থানে আসার পর ফের তৃতীয় স্থানে পিছিয়ে যান আদানি। তবে ফের বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তির স্থান ফিরে পেয়েছ🌳েন তিনি।
ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, আদানির মোট স꧙ম্পদের মূল্য ১৫৬.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১২.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা। ফ্যাশন সংস্থা লুই ভিটনের বার্নার্ড আর্নল্ট এবং জেফ বেজোসের চেয়েও যা বেশি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদ আদানির তুলনায় অনেকটাই কম। বর্তমানে তাঁর নেট ওয়ার্থ ৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বের অষ্টম ধনীতম ব্যক্তি তিনি। তবে ভারতে গৌতম আদানির পর দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি গৌতম আদানি।
তবে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির স্থান ধরে রেখেছেন ইলন মাস্ক। টেসলার প্রতিষ্ঠাতার মোট সম্পদ ২৭৭ বিলিয়ন𝓡 মার্কিন ডলার। ভা꧟রতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২২.০৫ লক্ষ কোটি টাকা।
সম্প্রতি আদানি গোষ্ঠী অম্বুজা সিমেন্টস এবং A꧑CC-কে ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে অধিগ্🙈রহণ করেছে। আগামিদিনে অম্বুজা-এসিসি-র সিমেন্ট উত্পাদন দ্বিগুণ✅ করﷺার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন গৌতম আদানি। বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিম𓄧েন্ট উত্পাদক অম্বুজা-এসিসি।
আহমেদাবাদে জন্ম। ছোট থেকেই ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতি আগ্রহ। কলেজ শেষ না করেই তাই হিরের কেনাবেচার দালালির কারবার শুরু করেন। তাতে ভালই মুনাফা হচ্ছিল। এরপর ১৯৮৮ সালে দাদার♛ সাহায্যে রপ্তানি ব্যবসা শুরু করেন। পলিথিলিন সংক্রান্ত ব্যবসায় নামেন। আর পাঁচজন ব্যবসায়ী হয় তো এখানেই থিতু হয়ে যেতেন। কিন্তু একেবারে ভিন্ন ধাতুতে গড়া গৌতম আদানি। এভাবেই সাত বছর চলার পরে বেশ ভাল মূলধন জমিয়ে ফেলেন। হঠাত্ই আসে সুযোগ। গুজরাটের মুন্দ্রায় একটি বাণিজ্যিক শিপিং পোর্ট নির্মাণ ও পরিচালনার বিপুল অঙ্কের চুক্তি জিতে নেন তিনি। সেটাই তাঁর জীবনের 'টার্নিং পয়েন্ট' বলা যায়। বর্তমানে সেটিই ভারতের বৃহত্তম বন্দর। এরপরেও থেমে যাননি গৌতম আদানি। ভারতে এবং বিদেশে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং কয়লা খনির ব্যবসায় এগোতে শুরু করেন।
বর্তমানে পেট্রোকেমিকাল, খাদ্য সামগ্রী,༒ সবুজ শক্তি, খনিজ পরিশোধন ও সিমেন্ট উত্পাদনের ক্ষেত্রেও এগিয়ে চল🦋েছে গৌতম আদানি।
এত কিছুর পরেও মাটির সঙ্গে যোগ হারিয়ে ফেলেননি গৌতম আদানি। বিভিন্ন সামাজিক কাজে বিপুল টাকা দান করেন। তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আদানি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন দাতব্য চিকিত্সাকেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালান। মাঝে মাঝেই নিজের কোনও স্কুল পরিদর্শনে চলে যান। আবার দীপাব♛লি কাটিয়ে আসে✅ন কারখানার কোনও সাধারণ কর্মীর বাড়িতে। আর সেখানেই আর পাঁচজনের থেকে ব্যবসায়ীর থেকে নিজেকে আলাদা করে তুলেছেন গৌতম আদানি।