গৌতম আদানি এবার অনিল আম্বানি পরিচালিত কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির জন্য বিড করতে যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত এই💮 দেউলিয়া হয়ে যাওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি বর্তমানে নিলামে উঠেছে। ব্লুমবার্💎গ-এর পক্ষ থেকে বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। আদানি গ্রুপকে চ্যালেঞ্জ করে বিদর্ভ ইন্ডাস্ট্রিজ পাওয়ার লিমিটেডের প্রতিযোগিতায় নামতে পারে, যা মধ্য ভারতে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
আম্⭕বানির নিয়ন্ত্রণাধীন দেউলিয়া হয়ে যাওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আদানি গ্রুপের বিড সফল হলে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের নিরিখে আরও কিছুটা একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করবে আদানি গোষ্ঠী। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পর নানান ভাবে বাণিজ্য সাজাতে ঝাঁপিয়েছে আদানি গ্রুপ। এক্ষেত্রে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি অধিগ্রহণ করতে পারলে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন গৌতম আদানি। সংকটের দিনে এটি গ্রুপকে প্রয়োজনীয় আস্থাও জোগাবে, বলছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আদানি গ্রুপ মূল জীবাশ্ম-জ্বালানী প্রকল্পগুলি সম্প্রসারণ করতে চাইছে এবং সূত্র অনুসারে মনে করা হচ্ছে বেইন ক্যাপিটাল এবং কার্লাইল গ্রুপ এই নিলামে অংশ নিতে চলেছে। অন্যদিকে, আদানি চাইছে নগদ অর্থ হাতে রাখতে এবং মূল ব্যবসাগুলিকে পাখির চোখ 🦂করে এগোতে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ಞযে অনিল আম্বানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেওয়ার আশায় দর দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছেন। বছরের পর বছর ধরে ঋণদাতাদের সাথে লড়াই করার পর বিপর্যস্ত অনিল আম্বানি সব মিলিয়েই বেশ বেকায়দায় পড়েছেন। সম্প্রতি, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অনিল আম্বা🍬নিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তবে কী প্রশ্ন করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
ইয়েস ব্যাঙ্কের একটি মামলায় ২০২০ সালে তাঁকে একদফা জেরা করে ইডি। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুর। অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ারও অভিযোগ হয়েছে। ৪২০ কোটি টাকা কর ফাঁকি🎉 দেওয়ার সেই মামলায় গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর বিরুদ্ধে আয়কর বিভাগকে কোনও কড়া ব্যবস্থা না নেওয়ার নির্দেশ দেয় বম্বে হাইকোর্ট। অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে অভিযোগ সুইস ব্যাঙ্কে তাঁর দুটি অ্য়াকাউন্টে রয়েছে ৮১৪ কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে তিনি কর ফাঁকি দিয়েছেন ৪২০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের ভিত্তিতে। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগের তদন্ত কত দূর এগিয়েছে, বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি’র কাছে তা জানতে চাইল স💛ুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে আগামী ১৪ অগস্টের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের সেই তদন্ত শেষ ꧂করতেও মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বলেছে কোর্ট নিযুক্ত কমিটির রিপোর্টের যে জবাব সেবি দিয়েছে, তা সব পক্ষের মধ্যে বণ্টন করতে। সেবি’র তরফে সলিসিটর জেনারাল তুষার মেহতার দাবি, ‘যত দ্রুত সম্ভব’ তদন্ত শেষের পথে হাঁটছে নিয়ন্ত্রক। যাই হোক না কেন আদানি গ্রিন এনার্জি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পাশাপাশি জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনের ক্ষেত্রেও উঠে-পড়ে লেগেছেন বলেই মন করছে সংশ্লিষ্ট মহল।