খ𓆏াদ্যপণ্যের চড়া দাম কমার লক্ষণ নেই। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার ঘোষণা করেছে, রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে সারা দেশের শহরগুলিতেই সস্তায় ডাল বিক্রি করা হবে।
এছাড়াও দেশের শহরগুলিতে ভর্তুকিযুক্ত টমেটো বিক্রির জন্য এটি কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এক কর্মকর্তা এপ্রসঙ্গে বলেন, সরকার পাঁচশোটিরও বেশি কেন্দ্রে মূদ্রাস্ফীতির প্রবণতা এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ পর্যবেক্ষণ করছে। যে অঞ্চলগুলিতে অতিরিক্ত মুদ্রাস♚্ফীতি দেখা যাচ্ছে, সেখানকার বাজারের দর নিয়ন্ত্রণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার।
ন্যাশনাল 𒉰কো-অপারেটিভ কনজ্যুমারস' ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এবং ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন, এই দুই রাষ্ট্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত খাদ্য সংস্থা, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে কৃষিজমির খোঁজ করছে। তারা টমেটো সংগ্রহ করে ঘাটতি থাকা রাজ্যগুলিতে পাঠানোর ♎পরিকল্পনা নিয়েছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল 'ভারত ডাল' ব্র্যান্ডের ভর্তুকিযুক্ত ডাল বিক্রির উদ্বোধন করেন। এক্ষেত্রে প্রতি কেজির প্যাকেটের মূল্য পড়ছে ৬০ টাকা, যা চলতি বাজার দর থেকে ২০ শতাংশ কম। চাল বা রুটির মতো প্রধান খাদ্য ছাড়াও অধিকাংশ ভারতীয়দের প্রোটিনের প্রধান উৎস ডালের দাম ব🌺্যাপকভাবে বেড়েছে। গত ২ জুন থেকে সরকার খুচরো ꦓদোকান ও ব্যবসায়ীদের মজুত করা ডালের পরিমাণের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে।
গত ২৫ মে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত তথ্য ﷽অনুযায়ী, ২০২২-২৩ সালের মধ্যে ডালের মোট উৎপাদন হবে ২৭.৫ ম🍰িলিয়ন টন। পূর্ববর্তী বছরে ডালের মোট পরিমান ছিল ২৭.৩ মিলিয়ন টন।
তবে দেশজুড়ে সব প্রজাতির ডালের ঘাটতি দেখা গেছে এমন নয়, কিছু ক্ষেত্রে এই ঘাটতি দেখা গেছে। অতিবৃষ্টি ও মৌসুꦜমি জলবায়ুর কারণে🌱ও বেশির ভাগ খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে।
অন্যদিকে, সোমবারও বেশ কিছু বাজারে টমেটোর খুচরো দাম কেজিতে ১৫ টাকা কমেছিল। গত জুন মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৪.৪৯ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে খুচরো খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীত🍸ি তিন মাসের মধ্যে সর্বোচไ্চ ৪.৮১ শতাংশে পৌঁছেছে।
২০২১ সালের মে মাসে ডাল꧙ের আমদানির ওপর শুল্ক ছাড় দিয়েছিল সরকার। আমদানি নীতির ফলে ডালের আমদানি যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছিল, ফলে দামও কমেছিল বেশ খানিকটা।