ওড়িশার রাজ্যপাল রঘুবর দাসের ছেলের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এক সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনা এবার রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়াল। সেই রাজ্যের বিরোধী বিজু জনতা দল এবং কংগ্রেস রাজ্যপালের ছেলে ললিত কুমারের গ্রেফতারির দাবি তুলল। রিপোর্ট অনুযায়ী, পুরীর রাজভবনে সরকারি কর্মীকে হেনস্থার ঘটনাটি গত সপ্তাহে ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পুরী সফরকালের সময় রাজভবনে সরকারি কর্মীকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। (আরও পড়ুন: ৪৬ বছর পর খুলছে পুরীর রত্ন ভাণ্ডারের দরজা, জগন্নাথ দেবের কো𒐪ষাগারে দেখা যাবে কী?)
আরও পড়ুন: ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপরে কে গুলি চালিয়েছিল? জা🍷না গেল বছর ২০'র বন্দুকবাজের পরিচ♚য়
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনায় হেনস্থার শিকার সেই কর্মীর নাম বৈকুণ্ঠনাথ প্রধান। ওড়িশা রাজভবনে নিযুক্ত রাজ্য সংসদ বিষয়ক দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেকশন অফিসার তিনি। তিনি এই নিয়ে রাজ্যপালের সচিবের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বৈকুণ্ঠনাথ প্রধান অভিযোগ করেন, গত ৭ জুলাই রাতে পুরী রাজভবনে রাজ্যপাল দাসের ছেলে ললিত দাস তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আধিকারিক সহ আরও পাঁচজনের সঙ্গে মিলে তাঁকে মারধর করেন। (আরও পড়ুন: তদন্তের শুরুতেই প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি, ট্রাম্পের কানে নাকি গুলি লাগেই𝕴নি)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে গুলি করা শুটারের ওপর নজর স্নাইপারের! তাও কেন ঘটল এই ঘটনা? 🦩সামনে ভিডিয়ো
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৭ জুলাই বিকেল থেকে ৮ জুলাই সকাল পর্যন্ত পুরী রাজভবনে ছিলেন। রথযাত্রা উৎসবে অংশ নিতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সফরের 💝জন্য রাজভবনের প্রস্তুতির তদারকি করতে ৫ জুলাই থেকে পুরীর রাজভবনের ইনচার্জ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন বৈকুণ্ঠনাথ প্রধান। রাজ্যপালের সচিবের কাছে দায়ের করা অভিযোগে বৈকুণ্ঠনাথ প্রধান অভিযোগ কর༒েছেন, ৭ জুলাই রাতে কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁর উপর হামলা চালায় ললিত কুমার।
আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েও✨ উঠে দাঁড়ালেন ট্রাম্প, হামলা নিয়ে কী বলল💙েন তিনি?
অভিযোগপত্রে বৈকুণ্ঠনাথ দাবি করেন, ৭ জুলাই রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তিনি যখন অফিসে বসে ছিলেন, তখন ওড়িশার রাজ্যপালের ব্যক্তিগত রাঁধুনি আকাশ সিং সেখানে যান। আকাশ নাকি তাঁকে জানান যে ললিত কুমার তাঁর সাথে ৪ 🔯নম্বর স্যুটে দেখা করতে চান। এরপর বৈকুণ্ঠনাথ সেখানে গেলে ললিত কুমার তাঁকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। অসহায় বোধ করে তিনি দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের পেছনে লুকিয়ে পড়েন। পরে ললিত কুমারের দুই পিএসও তাঁকে খুঁজে পেয়ে লিফট দিয়ে টেনে হিঁচড়ে চার নম্বর রুমে নিয়ে যান। ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মী ও অন্যরা। তাঁরা আবার তার মুখে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। তাঁর শরীরের প্রতিটি অংশে লাথি মারতে শুরু করেন এবং তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালি মুচড়ে দেন। বৈকুণ্ঠনাথ প্রধানের অভিযোগ, ঘটনাটি কারও সামনে প্রকাশ করলে ললিত কুমার তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। এদিকে রাজ্যপালের ছেলে কোনওভাবেই এর সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি রঘুবর দাস ঘনিষ্ঠ মহলের।