চলতি অর্থবর্ষের শেষ মাস মার্চ শুরু হয়ে গেল। এটিই ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের শেষ মাস। পরের মাস থেকেই নয়া অর্থবর্ষ (২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ) শুরু হবে। সেই মাস থেকে অর্থ সংক্রান্ত একাধিক নিয়ম পালটে যাবে। তবে শুধু এপ্রিলে নয়, মার্চেও এমন একাধিক নিয়ম পালটে যাচ্ছে, যেগুলি মানুষের পকেটে প্রভাব ফ♐েলবে। ২০২৪ সালের🐻 মার্চ থেকে অর্থ সংক্রান্ত কোন কোন নিয়ম পালটে যাচ্ছে, তা দেখে নিন। আর আপনার জীবনে কতটা প্রভাব পড়বে, সেটাও দেখে নিন এখানে।
বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম পরিবর্তন
১ মার্চ মধ্যরাত থেকেই দেশের বিভিন্ন শহরে ভর্তুকিহীন ১৯ কেজি বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। 🌟ইন্ডিয়ান অয়েলের তথ্য অনুযায়ী, কলকাতায় প্রতিটি সিলিജন্ডারের দাম বেড়েছে ২৪ টাকা। দিল্লি এবং মুম্বইয়ে প্রতিটি সিলিন্ডারের দাম ২৫.৫ টাকা বেড়েছে। চেন্নাইয়ে দাম বেড়েছে ২৩.৫ টাকা।
পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর নিষেধাজ্ঞা
নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই), তা আগামী ১৫ মার্চের পর থেকে কার্যকর ♉হ🐎বে। সেই নিষেধাজ্ঞার ফলে ১৫ মার্চের পর থেকে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়া যাবে না। যতদিন অ্যাকাউন্টে টাকা থাকবে, ততদিন টাকা তুলতে বা ট্রান্সফার করতে পারবেন।
SBI-র ক্রেডিট কার্ডধারীদের ক্ষেত্রে নিয়ম পরিবর্তন
ভারতের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এ♋সবিআই) ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ক্রেডিট 🐽কার্ডের অ্যাকাউন্টের ‘স্বাস্থ্য ভালো রাখার’ জন্য যে ন্যূনতম টাকা দিতে হয়, সেটা নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিয়মের সংশোধন করা হচ্ছে। মোট জিএসটি, ইএমআই, ১০০ শতাংর্শ চার্জের মতো বিষয়গুলি যুক্ত করে ওই অঙ্কটা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
ফাস্ট্যাগের নিয়ম
আপাতত যা ঠিক আছে, তাতে যাঁরা ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেআইসি (নো ইয়োর কাস্টমার) প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেননি,ꦯ ১ মার্চ থেকে তাঁদের FASTags নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। সোজা ভাষায় বলতে গেলে FASTags অ্যাকাউন্ট টাকা থাকলেও কেওয়াইসি না করলে কোনও লাভ হবে না। তবে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া সূত্রে খবর মিলেছে যে মার্চের পয়লা দিন থেকে সেই নিয়ম নাও চালু হতে পারে। সরকারিভাবে অবশ্য তেমন কিছু জানানো হয়নি।
জিএসটির নিয়মে পরিবর্তন
১ মার্চ থেকে ই-ইনভয়েসের তথ্য ছাড়া কোনও ধরনের বিজনেস-টু-বিজনেসের লেনদেনের ক্ষেত্রে ই-ওয়ে বিল জেনা♋রেট করতে পারবে না কোনও সংস্থা (টার্নওভার পাঁচ কোটি টাকার বেশি)। জিএসটির আওতায় এক রাজ্য থেকে অপর রাজ্যে পণ্য পরিবহণের জন্য ই-ওয়ে বিল বাধ্যতামূলকভাবে প্রয়োজন হয়।