বারাণসী আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানা সিল করা হয়েছে। এই ওজুখানার আশেপাশে যাতে কেউ না যেতে পারে সেই জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট আপাতত সেই নির্দেশ বহাল রেখেছে। এই আবহে ওজুখানায় থাকা মাছগুলি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ল উত্তরপ্রদেশ সরকার। এই আবহে বারাণসী আদালতে অ্যাডভোকেট বিষ্ণু জৈন জানিয়েছেন, ওজুখানায় থাকা মাছ যাতে না মারা যায়, সেই আর্জি জানিয়ে আদালতে একটি আবেদন দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। আজকে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা বারাণসী আদালতে। (আরও পড়ুন: 😼কেউ চালান মুদিখানা, ক⭕েউ বা বিউটি পার্লার, জ্ঞানবাপী সমীক্ষার নেপথ্যে কোন ৫ মহিলা)
এদিকে গতকালই বারাণসীর আদালতে জ্ঞানবাপী মসজিদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল কমিশনের। এর আগেই গতপরশু জ🃏্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় একটি পাথর নিয়ে মামলা রুজু হয়েছিল আদালতে। মামলাকারীর দাবি, সেই পাথর আদতে শিবলিঙ্গ। সেই মামলা দায়েরের পরই আদালতের তরফে মসজিদের ওজুখানা সিল করার নির্দেশ দেয় আদালত। যদিও সেই নির্দেশের পালটা মামলা দায়ের করবে বলে জানিয়েছেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির আইনজীবী। মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই পাথর শিবলিঙ্গ নয় বরং এটি ফোয়ারা। আর এসব বিতর্কের মাঝেই সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানায় কোর্ট কমিশনার। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
এরপর এই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর𓆉্টে। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দে💧য়, জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘শিবলিঙ্গ এলাকায়’ নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসীমার ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন, আদালত নিযুক্ত কমিশনারের সমীক্ষার সময় মসজিদ চত্বর থেকে যে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে, বারাণসীর জেলাশাসককে সেই এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সেইসঙ্গে নমাজের জন্য মুসলিমদের মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী ১৯ মে ফের সেই মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে।