জ্ঞানবাপী শৃঙ্গার গৌরী মামলার শুনানিতে সম্মতি জানাল বারাণসী জেলা আদালত। 'জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ আছে', এমন দাবি করে সেখানে পুজো করার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল বারাণসী আদালতে। হিন্দু পক্ষের সেই দাবি খারিজ করে পালটা মামলার আবেদন জানানো হয়েছিল সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। পরে সুপ্রিඣম নির্দেশে সেই মামলা ফিরে আসে বারাণসী আদালতে। আজ বারাণসী দায়রা আদালতে বিচারক একে বিশ্বেসের একক বেঞ্চ জানিয়ে দেন যে হিন্দু পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা এগোবে। মুসলিম পক্ষ অঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া কমিটির আবেদন খারিজ করেন বিচারক।
হিন্দুপক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শংর জৈন জানান, হি♛ন্দুপক্ষের দাবির প্রেক্ষিতে করা মামলার 💟পরবর্তী শুনানি হবে ২২ সেপ্টেম্বর। প্রসঙ্গত, গত ২০ মে এই মামলায় জরুরি ভিত্তিতে শুনানি শুরু করেন বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক৷ মূলত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, মামলার গুরুত্ব বিচার করে দ্রুত শুনানি শেষ করতে হবে৷
উল্লেখ্য, পাঁচজন মহিলা জ্ঞানবাপী মসজিদকে হিন্দু মন্দির দাবি করে পুজো করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন বারাণসীর আদালতে। এরপর সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত একটি সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। বিতর্ক সত্ত্বেও সেই সমীক্ষা সম্💞পন্ন হয়। ১৪ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত চলা এই সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে ১২ পৃষ্ঠার রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। এদিকে মুসলিম পক্ষের দাবি, ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা আইন অনুযায়ী পুজোর দাবি জানিয়ে এই মামলা ভিত্তিহীন। যদিও হিন্দুপক্ষে দাবি, ১৯৪৭ সালের পরেও এখানে পুজো হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে ১২ জন সাক্ষীকে পেশ করা হয়েছিল আদালতে। এই আবহে আদালত জানিয়ে দিল, জ্ঞানবাপী♛ মসজিদ চত্বরে পুজোর দাবি জানানো মামলার শুনানি হবে। এদিকে অঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া কমিটি জানিয়েছে, বারাণসী আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তারা এলাহাবাদ হাই কোর্টে যাবে।
এদিকে এই মামলার রায় ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়িয়ে পড়ে, সেদিকে কড়া নজর ছিল প্রশাসনে🏅র। রায়দানের আগে বারাণসী জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। আধাসেনাও মোতায়েন করা হয় বারাণসীতে। কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তার♛ ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিটি রাস্তায় টহলদারি যান মোতায়েন করা হয়।