হরিয়ানা বিধানসভার নির্বাচনে কংগ্রেসকে দেখা গিয়েছি🧜ল ব্যাপক প্রচার করতে। সেই প্রচারে ভিড়ও হচ্ছিল যথেষ্ট। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল প্রচারের সঙ্গে মিল নেই। অর্থাৎ কংগ্রেস নেতারা এখানে এসে দাবি করেছিলেন, এবার বিজেপিকে তাঁরা ধরাশায়ী করবেন। কিন্তু বিজেপি তৃতীয়বারের জন্য হরিয়ানার কুর্সি দখল করল। এটা যে ঘটবে সেটা কেউ ভাবতে পারেনি। বুথফেরত সমীক্ষাও বলেনি বিজেপি জিতবে এত ভালভাবে। বরং কংগ্রেসের পক্ষে পাল্লা ভারী রেখেছিল। আর সেটাকেই চূড়ান্ত ধরে নিয়ে কংগ্রেস গতকাল ফলাফল প্রকাশের আগে বাজি ফাটানো, কর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ এবং ঢাকঢোল বাজাতে শুরু করে দিয়েছিল। যদিও বেলা গড়াতেই সব ফিকে 🔯হয়ে গেল কংগ্রেস সদর দফতরের সামনে।
এদিকে দিনের শুরুতে দেখা যাচ্ছিল, কংগ্রেস এগিয়ে আছে বহু আসনে। আর পিছনে লড়াই করছে বিজেপি। তাতেই সদর দফতরের সামনে উল্লাস ফেটে পড়ছিল। সেটা যে এমন ব্যুমেরাং হবে তা ছিল কল্পনার অতীত। কিন্তু বাস্তবটি হল—হরিয়ানা নির্বাচনের ফলাফলে আবার হেরে গেল কংগ্রেস। যদিও কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ পরে এই পরাজয়ের কারণ হিসাবে ইভিএমে ব্যাপক গোলমালের কথা বলেছেন। সুতরাং ভোটে রিগিং হয়েছে বলতে চাইছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ঘড়িতে বাজতেই কংগ্রেস কর্মীদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হল। ততক্ষণে ♋দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ আসনে পিছিয়ে পড়েছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ‘নিজের বিবেককে নাড়া দেওয়া উচিত’, রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন রাজ্যপাল
অন্যদিকে এমন পরিস্থিতি দেখে বন্ধ হয়ে যায় বাজি ফাটানো, মিষ্টি বিতরণ এবং ঢাক বাজানো। তখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দলের সদর দফতর ছেড়ে নিজেদের বাড়ি যেতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। এই হরিয়ানায় ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছিল জাঠরা বিজেপি এবং গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীদের উপর ক্ষুব্ধ। ভোট দেবে না বিজেপিকে। সেখানে দেখা গেল কংগ্রেস বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। বরং ভোট পেয়েছে বিজেপিই। আর তার পরই লাড্ডু, জিলিপি, বাজি ফাটানো, ঢাকঢোল বাজানো সব বন্ধ হয়ে যায়। বড় 🅠করে জেতার আ🦹নন্দ করার সমস্ত আয়োজন বন্ধ করে দিতে হয়।
তবে এবার কংগ্রেসের আসন সংখ্যা গতবারের তুল🐭নায় বেড়েছে। গতবার ৩১টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। এবার পেল ৩৭টি আসন। কিন্তু সেই বিরোধী দলের তকমাই থেকে যাচ্ছে। যখন গণনা চলছিল তখন আত্মবিশ্বাসী মনোভাব দেখা যাচ্ছিল কংগ্রেস নেতা কর্মীদের মধ্যে। কিন্তু যখন পিছতে শুরু করল কংগ্রেস তখন নেতা–কর্মীরা বলছিলেন আরও রাউন্ড আছে। কংগ্রেস ঠিক জিতবে। কিন্তু যখন ফলাফল মোটামুটি স্পষ্ট হল তখ♑ন সবাই উধাও। কুমারী শৈলজাকে নিয়ে যে আশা ছিল হারের পর সেই আশা নিরাশায় পরিণত হয়েছে।