নয়া আইটি আইন মানা নিয়ে টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত জারি রয়েছে। এই আবহে শুক্রবার সংসদীয় প্যানেলের সামনে তলব করা হয়েছিল টুইটার কর্তৃপক্ষকে🍌। সেখানেই সংস্থাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভারতের আইন মেনে চলতে হবে। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন এই প্যানেল এদিন দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে টুইটার কর্তৃপক্ষকে নয়া আই না মানা নিয়ে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করে। সেখানে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও টুইটারের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন🐻।
সূত্রের খবর, প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে এদিনের এই বৈঠক। সেখানে দলমত নির্বিশেষে কমিটিতে থাকা প্রায় সদস্যই টুইটারকে বিভিন্ন প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেꦚন। মার্কিন ওই মাইক্রোব্লগিং সাইটকে স্পষ্ট জানানো হয় যে ভারতে ব্যবসা করতে গেলে এখানকার আইন মেনে চলতে হবে। বিজেপি নেতাদের টুইটে ম্যানিপুলেটেড ট্যা𝔍গ নিয়েও প্রশ্ন করা হয় এদিন। যদিও টুইটারের দাবি, তাঁরা নিজেদের নীতি মেনেই চলে। এই বিষয়েও প্রশ্ন ওঠে। বিজেপি সাংসদ তথা প্যানেলের সদস্য নিশিকান্ত দুবে বলেন, প্রতিবার আপনাদের কিছু বলা হলেই আপনারা বলেন, ৩৬ ঘণ্টা পরে জানাচ্ছে, আগে আমেরিকায় আপনাদের আলোচনা করতে হবে।
উল্লেখ্൩য, ভারতে যে নয়া ডিজিটাল আইন চালু হয়েছে, তা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলি মেনে নিলেও টুইটার এই বিষয়টি এখনও মানেনি। এই নিয়ে সম্প্রতি টুইটারকে তলব করে সংসদের তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত কমিটি। শুক্রবার সেই কমিটির সামনে হাজির হয়েছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ। ওই কমিটির অন্যতম সদস্য তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এদিন সোজা প্রশ্ন করেন, 'সরকার যে আইন নিয়ে এসেছে, তা কেন♌ মানছে না টুইটার?'
ভারতের নয়া ডিজিটাল আইন অনুযায়ী, একজন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে। যিনি আইন মেনে সবকিছু চলছে কি না, তা🌱 খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু টღুইটার এখনও সেই পদে কাউকে নিয়োগ করেনি। কেন টুইটার এখনও ওই অফিসার নিয়োগ করেনি, সেই প্রশ্নও এদিন তোলে সংসদীয় কমিটি। সূত্রের খবর, বিতর্কিত টুইট নিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষের কী ভূমিকা, তাও জানতে চাওয়া হয় শুক্রবার। তখন সেখানে উপস্থিত টুইটারের দুই আধিকারিক জানান যে তাঁরা ভালো টুইটকে প্রমোট করেন। খারাপ বার্তা যায় এমন টুইট তাঁরা ছড়াতে দেন না।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে উত্তরপ্রদেশের একটি ঘটনা নিয়ে টুইটারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একটি ভিডিয়োকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। সেই ভিডিয়ো করা অভিযোগগুলি ভুয়ো বলে দাবি করা হয় পুলিশের তরফে। তার পরই টুইটার এবং যাঁরা সেই ভিডিয়ো টুইট বা রিটুইট করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। এই ঘটনার চলাকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়,🔴 টুইটার তাদের আইনি রক্ষা🧔কবচ হারিয়েছে।