HTLS 2022: ভারত কেন RCEP-তে সই করেনি? চিনের নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব থেকে বেরিয়ে আসার কারণ ক💫ী? শনিবার তারই জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র ও বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। হিন্দুস্টান টাইমস লিডারশিপ সামিট ২০২২🌳-এ তিনি পুরো বিষয়টি ব্যাখা করেন। RCEP-এর পুরো অর্থ হল ‘রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিকাল পার্টনারশিপ’।
তিনি জানান, RCEP-র উপর🦋 নির্ভরশীলতার কারণে MSME (মাঝারি ও ক্ষুদ্র উদ্যোগ) এবং দুগ্ধ খাতে উদ্বেগের পরিবেশ ছিল। ভারত সেই অনিশ্চয়তার থেকে বের হতে চাইছিল। এমনই ব্যাখা তাঁর।
'এফটিএ-তে সই করতে হবে, তাই কিছু না ভেবেই সই করে দিলাম... মোদী সরকার এমনভাবে চলে না। যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়াই হয়, তবে তা সমস্ত পক্ষের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পরেই নেওয়া হবে। এমন কিছু করা হবে, যাতে আমাদের এবং অন্যান্য দেশের সুবিধা হয়,' বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আরও পড়ুন: HTLS 2022: কেন হিন্দি ছবি ভালো ব্যবসা করতে পারছে না? কী বলছেꦉন অক্ষয় আর রাম চরণ
'আমরা RCEP ত্যাগ করলཧাম কেন? এই চুক্তিতে ১৫টি দেশ (ভারত বাদে) ছিল, যার▨ মধ্যে ১০টি ASEAN দেশ ছিল। এদের সঙ্গে ভারতের ইতিমধ্যেই বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। জাপান এবং কোরিয়ার সঙ্গেও আমাদের চুক্তি রয়েছে। নিউজিল্যান্ড একটি ছোটো বাণিজ্যিক অংশীদার। এদিকে আমরা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। ফলে প্রকৃতপক্ষে দেখা যাচ্ছে এই RCEP আসলে ভারত-চিন FTA,' তিনি ব্যাখ্যা করেন।
২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারত 'কিছু গুরুতর উদ্বেগ'-এর কারণ দেখিয়ে RCEP-র আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসে।ꦫ এই আলোচনা বহু বছর আগে, ২০১২ সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের অধীনে শুরু হয়েছিল।
২০২০ সালে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ভারত আরসিইপিতে যোগ দেয়নি কারণ, এর 'নেতিবাচক পরিণতি' হতে পারে। তিনি বলেছিলেন, এই চুক্তিতে প্রবেশ করলে সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও লাভ নেই। কারণ এটি আমাদ♕ের নিজস্ব অর্থনীতির জন্য মোটামুটি নেতিবাচকই হয়ে দাঁড়াবে। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনার সময়ে এই বিষয়ে মুখ খোলেন।
পীযূষ গোয়ল এই বিষয়ে কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, 'আগের সরকারের অধীনে, ভারত অন্যায্য বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। সেই সিদ্ধান্ত সরকারের মধ্যেও হতে পারে বা এর বাইরের উচ্চ পর্যায়ের কেউও নিয়ে থাকতে পারেন। আসলে সেটা তো আর ফাইলে থাকে না, তাই আমাদের তা জানা নেই।' আরও পড়ুন: HTLS 2🐼022: গান্ধী পরিবারের না জন্মানো সদস্যকেও পুজো করার জন্য তৈরি থাকত𒈔ে হয়, খোঁচা হিমন্তের
তিনি মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে জোর দিয়ে বলেন, 'আজ পর্যন্ত, কিছু সম্পাদকীয় এবং অপিনিয়ন আর্টিকেল🅠ের দু-এꦅকজন অর্থনীতিবিদ ছাড়া, কোনও শিল্পপতি, যাঁরা আসল ব্যবসা করেন, তাঁরা আমার কাছে এসে বলেননি যে কাজটা ভুল হয়েছে।'