মনে করা হয়েছিল, কংগ্রেসের আজকের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে স্থায়ী সভাপতি খোঁজা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। বিগত বেশ কয়েকদিন 🌞ধরে কংগ্রেসের অন্দরে জি-২৩ গোষ্ঠীর যেই বিদ্রোহ শুরু হয়েছে, তা শান্ত করতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হত পারে। তবে তা না করে বিদ্রোহীদের সাফ বার্তা হিসেবে সোনিয়া গান𓄧্ধী জানিয়ে দিলেন যে তিনি দলের ফুল-টাইম সভাপতি পদে রয়েছেন।
সোনিয়া গান্ধী এদিন বলেন, 'কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার জন্য আত্ম-নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা, ঐক্য এবং দলের স্বার꧙্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।' তিনি আরও বলেন, 'দল আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে। কিন্তু নিঃসন্দেহে আমরা অনেক চ্যালেঞ🍬্জের মুখোমুখি।' কিন্তু তিনি এটাও জোর দিয়ে বলেন, 'যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, যদি আমরা শৃঙ্খলাবদ্ধ হই এবং যদি আমরা এককভাবে দলের স্বার্থের দিকে মনোনিবেশ করি, তাহলে আমি নিশ্চিত যে আমরা ভালো করব।' তিনি আরও মন্তব্য করেন, 'আমি এই বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন যে আমি অন্তর্বর্তীকালীন কংগ্রেস সভাপতি।' এবং বক্তব্যে ঘোষণা করেন যে সাংগঠনিক নির্বাচনের জন্য একটি নতুন তারিখ শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রায় দেড় দশক কংগ্রেসের সভানেত্রী ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তারপর ২০১৭ সালে সেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া রাহুল গান্ধীর হাতে। তবে ২০১৯ সালে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর সেই পদ ছেড়ে দেন রাহুল গান্ধী। তারপর থে☂কেই দলীয় কাঠামো বদলের পক্ষে সওয়াল করে এসেছে🌊ন কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদের মতো নেতারা। এই আবহে স্বাভাবিকভাবেই এই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। গত বছর থেকেই কংগ্রেসে সাংগঠনিক নির্বাচন চেয়ে সরব দলের নেতাদের একাংশ। যাঁরা এই দাবি তুলেছেন, তাঁদের জি-২৩ বলা হচ্ছে। কারণ, ২৩ জন নেতা এই সংক্রান্ত দাবি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন সোনিয়া গান্ধীকে। সেই তালিকায় গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মার মতো বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাও ছিলেন। এরা পরবর্তী সময়েও একই দাবিতে সরব হয়েছিলেন।