আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এই মুহূর্তে তোলপাড় গোটা দেশ। বিক্ষোভ, মিছিলের জেরে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। অপরাধীর শাস্তি, নিরাপত্তা এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপ▨াধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি জোরদার হচ্ছে নাগরিক সমাজে। তবে এই ঘটনা যদি অসমে হত তাহলে কী কোর্ট সে রাজ্যের বিজেপি সরকার? তা পরিষ্কারভাবে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
আরও পড়ুন: '১৪ তারিখে পালিয়ে যাওয়া' পুলিশ নয়, আরজি করের নিরাপত্তায় এবার CISF, নির্🤪দেশ সুপ্রিম কোর্টের
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সোমবার বলেছেন, কলকাতার ডাক্তারের ভয়ঙ্কর ধর্ষণ ও হত্যার মতো ঘটনা যদি অসমে রাজ্যে ঘটত তাহলে সরকার দ্রুত বিচার প্রদান করত। অসমে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সরকার কী করে তা গত তিন বছরের রেকর্ড দেখলেই পরিষ্🍎ক🌳ার হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘যখন একজন মহিলার শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণ হয়, তখন আমরা দ্রুত বিচার করি, যা বিরোধীরা অপছন্দ করে।’ উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মে মাসে হিমন্তের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অসমে পুলিশ এনকাউন্টার বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে এই ধরনের মামলার নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করি। গত তিন বছরে, আমরা এমন অনেক তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছি যার জন্য আমি বিধানসভায় বিরোধীদে𝓀র আক্রমণের মুখে পড়েছি।’ উল্লেখ্য, বর্তমানে ৮০ জনেরও বেশি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে হস্তক্ষেপের জন্য একজন আইনজীবীর দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।
এর বিরোধিতা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা দেবব্রত সাইকিয়া বলেছেন, ‘ভারতে আমাদের আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রদানের এক𓄧টি প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থা রয়েছে। পুলিশকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কাজ করার ক্ষমতা দেওয়ার প🔜রিবর্তে সেই ব্যবস্থা অনুসরণ করা উচিত।’
উল্লেখ্য, এর আগে হিমন্ত বলেছিলেন, ‘অসম পুলিশ বদলে গিয়েছে। তোষণের রাজনীতি নেই। আমি বিধানসভা থꦑেকে সমস্ত অপরাধীদের কাছে আবেদন করছি, কোনও এনকাউন্টার হবে না। তবে পুলিশ দেখলে অবশ্যই হাত তুলবেন বা সাদা রুমাল নেড়ে দে🍬বেন। যদি তারা তা না করে আপনারা পুলিশের উপর হামলা করেন তাহলে আমি কি পুলিশকে চুপ থাকতে বলব!’