ജ কোটি টাকা বেতন পেলেও ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ররা সপ্তাহে ছ'দিন কাজ করতে চান না। এমনই অভিযোগ করেছেন আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর একটি প্রযুক্তি সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা তরুণ সিইও। যিনি নিজেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত।
🌞অভিযোগকারীর নাম বরুণ বুম্মাডি। তিনি তাঁর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছেন। তাতে বরুণ দাবি করেছেন, তাঁর সংস্থার ভারতীয় শাখায় কর্মী নিয়োগ করতে গিয়ে তিনি নাকি বেজায় ফাঁপড়ে পড়েছেন। কারণ,বছরে ১ কোটি (ভারতীয় মুদ্রায়) বা তারও বেশি টাকা বেতন পেলেও ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ররা অধিকাংশই সপ্তাহে ছ'দিন কাজ করতে রাজি হচ্ছেন না।
🐻বরুণের সংস্থার নামে গিগা এমএল। যা আদতে একটি অ্যাপ্লায়েড এআই ল্যাব। এই সংস্থা মূলত কাস্টমার কেয়ার পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তথ্য বলছে, বরুণ আইআইটি খড়গপুরের প্রাক্তনী। বর্তমানে থাকেন সান ফ্রান্সিস্কোয়।
💮তাঁর এক্স পোস্টে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়রদের রীতিমতো তুলোধনা করেছেন বরুণ। তাঁর দাবি, ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ররা নাকি কঠোর পরিশ্রম করতেই পারেন না। তিনি আরও নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করেছেন, যে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়রদের তিন থেকে আট বছরের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সপ্তাহে ছ'দিন কাজ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন।
൩বরুণ লিখেছেন, 'আমাদের ভারতের অফিসে ইঞ্জিনিয়রদের নিয়োগ করার সময় আমি একটি বিশেষ প্যাটার্ন লক্ষ করেছি। যদি কারও বেস স্যালারি বছরে ১ কোটি টাকাও হয়, তাহলেও তাঁরা কঠোর পরিশ্রম করতে রাজি হন না। ইঞ্জিনিয়রদের একটা বড় অংশ, যাঁদের ৩ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁরা কিছুতেই সপ্তাহে ছ'দিন কাজ করতে রাজি নন।'
🅺তবে, বরুণের এই পোস্ট নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। অধিকাংশ নেটনাগরিকই বরুণকে সমর্থন করেননি। তাঁদের মতে, সংস্থা বেতন দিচ্ছে মানেই সেই সংস্থার জন্য সপ্তাহে ছ'দিন কাজ করতে হবে, এমন ভাবার কোনও যৌক্তিকতা নেই।
꧟তাঁরা বলছেন, জীবনে অবশ্যই অর্থের প্রয়োজন। তাই ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ররা সেটা রোজগার করেন। কিন্তু, তার অর্থ তো এটা নয় যে টাকা রোজগারের জন্য তাঁরা বাকি সবকিছু ত্যাগ করবেন।
💞যদিও এই ধরনের মন্তব্যের জবাব দিতে ছাড়েননি বরুণ। তাঁর অভিযোগ, ভারতে বেশিরভার ইঞ্জিনিয়রই তাঁদের যোগ্যতার নিরিখে অনেক বেশি বেতন পান।
✃আমন নামে এক এক্স ইউজার লিখেছেন, '২৬ থেকে ৩২ বছর বয়সী লোকজন সপ্তাহে দু'দিন ছুটি চান। আমার কাছে সেটা একেবারেই স্বাভাবিক।'
💜সোশাল মিডিয়ায় সংশ্লিষ্ট পোস্টটি করার পর উলটে বরুণকেই নেট নাগরিকদের অধিকাংশের সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। তাঁরা মনে করছেন, বরুণ সেইসব উঠতি উদ্যোগপতিদের মধ্য়ে পড়েন, যাঁরা শুধুমাত্র নিজেদের মুনাফা বাড়াতে কর্মীদের দিয়ে অমানুষিক পরিশ্রম করাতে চান।
🌳একজন যেমন বরুণের পোস্টের কমেন্টে লিখেছেন, 'অবশেষে মানুষ বুঝতে পারছে, বাকি সমস্ত কিছুর থেকে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখাটা অনেক বেশি জরুরি।'
♚ঋষিকা গুপ্তা নামে এক এক্স ইউজার তো সরাসরি বরুণকে প্রশ্ন করে বসেছেন, 'আপনি কেন দু'জন ইঞ্জিনিয়র নিয়োগ করছেন না? এবং তাঁদের কাছ থেকে ন্য়ায্য কাজের সময় আশা করছেন না?'