করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কাটছাঁটের পথে হাঁটল কেন্দ্র। বড়সড় জমায়েত এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। একইসঙ্গে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মীদের মতো করোনা যোদ্ধাদের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আম♎ন্ত্রণ জানಌানোর পরামর্শ দিল কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র 🗹মন্ত্রকের তরফে পাঠানো সব রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকদের চিঠিতে জানানো হয়েছে, করোনা আবহ বিবেচনা করে উপযুক্তভ🦋াবে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। সেজন্য যাবতীয় সুরক্ষাবিধি, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। রাজ্য, জেলা থেকে শুরু ব্লক, মহকুমা, পঞ্চায়েত - সব স্তরেই সেই বিধি অনুসরণ করতে হবে।
লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে গত বছর প্রায় ১০,০০০ জন উপস্থিত ছিলেন। এবার তা মেরেকেট ১,০০০ হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে প্রথামতো লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে। জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্ত🐼োলন করা হবে। দেওয়া হবে ২১ টি গান স্যালুট। তারপর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন মোদী। সেই ভাষণ শেষ হলেই জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হবে। সবশেষে আকাশ ওড়ানো হবে তেরঙা বেলুন।
একইভাবে রাজ্যস্তরে মুখ্যমন্ত্রী, জেলাস্তরে মন্ত্রী বা কমিশনার বা জেলাশাসক, মহকুমা বা ব্লক স্তরে মন্ত্রী বা মহকুমা শাসক এবং পঞ্চায়েত স্তরে পঞ্চায়েত প্রধানকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে বলা হয়েছে। সকাল ন'টার পর সেই অনুষ্ঠান শুরু করতে হবে। কিন্তু বেশি জমায়েত করা যাবে না। সবস্তরেই করোনা যোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানোর পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। ‘যতটা সম্ভব ততটা ভালো প্রযুক্তির ব্যবহার করে’ সেই অনুষ্ঠানগুলির ওয়েবকাস্ট বা ডিজিটালে দেখানোর পক্ষেও♍ সওয়াল করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘরোয়াভাবে ব্যালকনি বা ছাদে জাতীয় পতাকার ওড়ানোর আহ্বান জা🔯নানো হয়েছে।
পাশাপাশি অন্যবার স্বাধীনতা দিবসে যেমন কুইজ, ডিবেটের মতো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, এবারও তা করা যাবে। তবে তা সেই অনুষ্ঠানগুলি অনলাইনে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চারাগাছ বসানো, নয়𝔍া প্রকল্পের ঘোষণার মতো প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে স্বাধীনতা ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর থিম প্রচারেরও পরামর্শ দে𒉰ওয়া হয়েছে।