সি🙈এএ নিয়ে এবার ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করল আমেরিকা। আর তার খানিক পরই বাইডেনের প্রশাসনকে তাদের ‘উদ্বেগ’ নিয়ে জবাব দিল ভারত। শুক্রবার দিল্লির বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে সাফ জানান, যে সিএএ ভারতের 'অভ্যন্তরীণ বিষয়'।
বৃহস্পতিবার আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট-এর মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছিলেন, এই সিএএ আইনের লাগু হওয়ার দিকে নিবিড় নজর⛦ রাখছে আমেরিকা। মিলার তাঁর বক্তব্যে বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমরা ১১ মার্চ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন।’ তিনি আরও বলেছিলেন যে, ‘এই আইন কিভাবে বাস্তবায়িত হবে তা আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সম্মান এবং সকল সম্প্রদায়ের জন্য আইনের অধীনে সমান আচরণ মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি।’ আমেরিকার এই বাক্তার পরই ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে কড়া জবাব আসে বাইডেন প্রশাসনের বক্তব্য ঘিরে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন,'সিএএ বাস্তবায়নের বিষয়ে মার্কিন বিদেশমন্ত্রকেরবিবৃতি এবং আরও কয়েকজনের মন্তব্যের বিষয়ে আমরা মনে করি যে সেগুলি ভুল, ভুল তথ্য সম্বলিত এবং অনুচিত।' সিএএ নিয়ে বিশ্লেষণ করে দিল্লির তরফে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এই আইনটি আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায♚়ের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়, যাঁরা ৩১ শে ডিসেম্বর ২০১৪ বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন।’ মোদী সরকারের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বাইডেন প্রশাসনের মুখপাত্রের বক্তব্যকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে নয়। এই বিষয়টিকে নদরে আনা উচিত।’
বিষয়টি নিয়ে আরও ব্যাখ্যার সুরে এদিন ব⭕িদেশমন্ত্রক বলে, ভারতের সংবিধান সব নাগরিকের ধর্মের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়। সংখ্যালঘুদের প্রতি কোনও উদ্বেগ বা তাঁদের সঙ্গে কী ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে কোনও চিন্তার কারণ নেই। একই সঙ্গে রণধীর জয়সওয়াল স্পষ্ট করে দেন যে, এই সিএএর সঙ্গে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির যোগসূত্র খুঁজে বের করে অনুচিত, কারণ এইটি সমস্যায় থাকা মানুষের জন্য একটি তাবড় উদ্যোগ। এদিকে, আমেরিকার বক্তব্য নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলছেন, ভারতের বহুত্ববাদী ঐতিহ্য সম্পর্কে যাঁদের সীমিত ধারণা আছে এবং দেশভাগ পরবর্তী সময়ের ইতিহাসে রয়েছে সীমিত জ্ঞান, তাঁদের ‘লেকচা𒉰র না দেওয়াই ভালো।’