পাক সেনাপ্রধানের ‘শান্তির হাত’ আহ্বান ও কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রস্তাবের উত্তরে পাকিস্তানকে উদ্যোগী হতে বলল দিল্লি। পারস্পরিক সুসম্পর্ক রাখার জন্য সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন বলেও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছে 🏅ভারত।
গত বুধবা🍸র পাকিস্তান বায়ু সেনা অ্যাকাডেমির এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া বলেন, পারস্পরিক সম্মান রক্ষা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতির প্রতি পাকিস্তান অঙ্গীকারবদ্ধ।
বাজওয়ার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অন🍰ুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, সীমান্ত সন্ত্রাসে লাগাম না দেওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান সুবিদিত। সন্ত্রাস, হিংস্রতা ও হিংসামুক্ত পিরবেশে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বা▨ভাবিক প্রতিবেশীর মতো সম্পর্ক বজায় রাখতে আগไ্রহী ভারত। এমন পরিবেশ তৈরি করার দায় পাকিস্তানেরই।’
দ্বিপাক্ষিক অস্থিরতা ও কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে পাকিস্তানের আলোচনার চেষ্টায় বাজওয়ার মন্তব্য সাম্প্রতিক সংয𓃲োজন। ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে অবনতি দেখা দেয়। ভারতের এই পদক্ষেপের জবাবে নয়া দিল্লি থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেয় পাকিস্তান এবং ভারতীয় হাই কমিশনকেও ই💙সলামাবাদ ত্যাগ করতে বলে পাক সরকার।
তবে তারও আগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায় পাক আখ্রিত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সন্ত্রাস হা⛄মলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হলে জবাবে পাকিস্তানে ঘাঁটি গাড়া সন্ত্রাসবাদী শিবিরে আঘাত হানে ভারতীয় বায়ুসেনা। সংঘর্ষে ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামায় পাক বাহিনী।
২০০৮ সালে পাক আশ্রিত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার মুꦫম্বই হামলার পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও সদর্থক কূটনৈতিক আলো⛎চনা ফলপ্রসূ হয়নি।