কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাবে সংখ্যালঘু ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ভারত। ইসলামাবাদকে নিশানা করে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের প্রতিনিধি সীমা পুজানি সত্যিকারের চিত্রটা তুলে ধরলেন। সীমা বলেন, 'বর্তমানে সময়ে পাকিস্তানে কোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় স্বাধীনভাবে থাকতে পারেন না। সেখানে তাঁরা নিজেদের ধর্ম পালন করতে পারেন না। গত এক দশকে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে ৮ হাজারের বেশি অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।' ভারতীয় প্রতিনিধি আরও বলেন, 'বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যুর জন্য পাকিস্তানের নীতি সরাসরি দায়ী।' (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলন দমা💙তে তৎপর সরকার, কর্মীদের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষে൩প কর্তৃপক্ষের)
উল্লেখ্য, পাকিস্তান দাবি করেছিল, বুলডোজার চালিয়ে এবং লিজ কেড়ে নিয়ে কাশ্মীরিদের জীবিকা ছিনিয়ে নিচ্ছে ভারত সরকার। এহেন ভিত্তিহীন অভিযোগে জবাবে এবার রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে 'শিক্ষা' দিল ভারত। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি সীমা পুজানি পাকিস্তানের দাবির প্রেক্ষিতে জবাব দিয়ে বলেন, 'পাক প্রতিনিধির দাবি বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা। পাকিস্তান ভারতকে নিয়ে মগ্ন।' সীমা অবিযোগ করেন, পাকিস্তানের অগ্রাধিকার নির্ধারণে গলদ রয়েছে। সীমা বলেন, 'ভিত্তিহীন অপপ্রচার🌳ের পরিবর্তে নꦗিজেদের জনগণের সেবার দিকে নজর দিন।'
এর আগে পাক বিদেশ প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার অভিযোগ করেছিলেন, ভারতের জন্যই তাঁদের জাতীয় নিরাপত্ত♑া বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বলেছিলেন, 'রাজনৈতিক কারণে ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসক কাশ্মীরি জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে মিথ্যাভাবে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে তুলনা করছে। ভারতীয় দখলদাররা কাশ্মীরিদের জীবিকা ছিনিয়ে নিতে তাদের বসত বাড়িগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে এবং জমির লিজ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। কাশ্মীরিদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।' হিনা আরও অভিযোগ কেরছিলেন, 'নীতি ভেঙে পরমাণু অস্ত্রের দিকে বার বার ঝুঁকেছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারত।'
পাক বিদেশমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জবাবে ভারতের প্রতিনিধি রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে বলেন, 'বর্তমানে পাকিস্তানি নাগরিকরা মারাত্মক সমস্যায় রয়েছেন। মানুষে🤡র জীবন এবং জীবিকা নিয়ে চরম টানাপড়েন চলছে সেদেশে। কিন্তু পাকিস্তানি সরকারের সেদিকে একদমই নজর নেই। উলটে তারা সব সময় ভারতকে নিয়েই পড়ে আছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে যে ভারতকে নিয়ে পাকিস্তান কতটা ঘোরের মধ্যে আছে। আসলে বর্তমানে সময়ে নিজেদের অগ্রাধিকার বোঝার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান। এ ধরনের ভিত্তিহীন প্রচার বাদ দিয়ে তাদের উচিত নাগরিকদের সমস্যা সমাধানসূত্র বের করা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা।'