বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছিল পাকিস্তান। শনিবার দায়িত্বপ্রাপ্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আফতাব হাসান খানকে তলব করে ꦐসেই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাল ভারত। কড়া ভাষায় স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় দ্বিপাক্ষিক প্রতিশ্রুতির কথা।
শুক্রবার নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর জম্মু ও কাশ্মীরের উরি থেকে গুরেজ পর্যন্ত একাধিক সেক্টর বিনা🅺 প্ররোচনায় সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। সেই ঘটনায় চারজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন ১৯ জন। প্রাণ হারান পাঁচ জওয়ান। সেই হামলার পালটা জবাব দেয় ভারত। তাতে দু'তিনজন স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (এসএসজি) কমান্ডার-সহ পাকিস্তান সেনার কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ১২-র বেশি।
সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায় ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইচ্ছা করে পাকিস্তানি সেনা নিরাপরাধ মানুষꦰকে নিশানা করার ঘটনাকে কড়া ভাষায় নিন্দা ꩲকরেছে ভারত।’
দীপাবলির ঠিক আগেরদিন সেই আক্রমণ চালিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা ক🌄রা হচ্ছিল বলে সাউথ ব্লকের তরফে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিত করা এবং হিংসা ছড়ানোর জন্য ভারতে একটি উৎসবের সময় বেছে নিয়েছে পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আর্টিলারি এবং মর্টার-সহ উচ্চমানের অস্ত্রের মাধ্যমে ভারতের নাগরিকদের উপর সংঘবদ্ধভাবে গুলি চালানꦅো হয়েছে।’
ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর জন্য যেভাবে মদত দিচ্ছে পাকি🅠স্তান, তারও কড়া নিন্দা করেছে সাউথ ব্লক। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তঃসীমান্ত জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে পাকিস্তান সহায়তা করছে। জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের থেকে নজর ঘোরানোর জন্য গুলিও চালাচ্ছে পাকিস্তানের বাহিনী।’ সেই সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে দ্বিপাক্ষিক প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে ইসলামাবাদ আশ্বাস দিয়েছিল যে ভারতে বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের জন্য নিজেদের ভূখণ্ডকে ব্যবহার করতে দেবে না ইমরান খান প্রশাসন।