নেপালের মুদ্রায় ভারতের ভূখণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করা ঠিক নয়। সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে নেপালের রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পাউডেল এর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা চিরঞ্জীবী। নতুন ১০০ টাকার নোট ইস্যু করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য পদত্যাগ করেছেন তিনি। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে 🅺জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপত🔜ি চিরঞ্জীবীর এই পদত্যাগপত্র অনুমোদন করেছেন।
ভারতের ‘বিতর্কিত’ ভূখণ্ড লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা ও কালাপানি অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করে ১০০ টাকার ন🥂েপালি নোটে নতুন মানচিত্র ছাপার ঘোষণা করেছিল নেপাল। এরপরেই শুরু হয় সমালোচনা। সেই সমালোচনায় ঘি ঢেলেছে চিরঞ্জীবীর সরকার বিরোধী মন্তব্য।লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা ও কালাপানি ▨এলাকা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এটি একটি কাঁচা সিদ্ধান্ত। এমনটাই বলেছিলেন তিনি। শুরু হয়েছিল বিতর্ক। সেই বিতর্ক থামাতেই এবার পদত্যাগ করলেন চিরঞ্জীবী।
চিরঞ্জীবী সোমবার বলেছিলেন, আমি একজন অর্থনীতিবিদ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর হিসাবে মন্তব্য করেছি, তবে কিছু মিডিয়া আউটলেট রাষ্ট্রপতির সম্মানিত প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কে জড়ানোর চেষ্টায🧜় আমার বক্তব্যকে বিকৃত করেছে। কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরার মতো অঞ্চলগুলোকর নতুন মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও ভারত বলে আসছে এই তিনটি এলাকা তারই অংশ।
চিরঞ্জীবী আরও জানিয়েছেন, অতএব, কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল যে আম🅺ার বক্তব্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতিকে বিতর্কে জড়ানোর চেষ্টা করেছিল তার জন্য আমি নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করেছি। কূটনৈতিক স্তরে মানচিত্র ইস্যুতে যখন আলোচনা হচ্ছে এমন সময়ে এ ধরনের কাজ দেশ ও জনগণের জন্য ব্যবহারিক সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই বিবৃতিতে আমার উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে সচেতন করা।
এর আগে নেপাল সরকার নিজেদের নোটে ভারতীয় বিতর্কিত এলাকা যুক্ত করে মুদ্রা ছাপানোর ঘোষণা করেছিল। পর এর ꦜযথারীতি সমালোচনা করে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা চিরঞ্জীবি নেপাল বলেছিলেন, এসব বিতর্কিত এলাকা মুদ্রায় যুক্ত করলে প্রতিবেশি দেশগুলো কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবেই।
CPN-UML সভাপতি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি প্রকাশ্যে চিরঞ্জীবী নেপালের মন্তব্যের জন্য সমালোচনা করেছিলেন। এর আগে, সুশীল সমাজ সংগঠনের নেতাদের একটি দল সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী নেপালের মানচিত্র সহ নতুন ১০০ টাকার নোট ছাপানো নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মন্তব্যের জন্য চিরঞ্জীবীর অপসারণের দাবি করে🐻ছিল।
আসলে, ২০২০ সালের ১৮ জুন নেপাল সংবিধ🍸ান সংশোধন করে লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধুরা অঞ্চলকে নিজেদের মানচিত্রে যুক্ত করেছিল। কিন্তু ভারতের দাবি, একতরফাভাবে এই তিনটি অঞ্চলকে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত সপ্তাহে নেপাল সরকারের নতুন নোট জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে মতভেদ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে এটি জমির স্থিতি বদলাতে পারবে না। নেপাল পাঁচটি ভারতীয় রাজ্যের সঙ্গে ১,৮৫০ কিলোমিটারের বেশি সীমানা ভাগ করে - সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড।