প্রাচীন গ্রন্থ ঘেঁটে প্রমাণ সংগ্রহ করে ভারতকে বিজ্ঞানের ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিক্যাল রিসার্চ (আইসিএইচআর) এবং ইন্ডিয়ান স্পেস র🍷িসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতের অবদানের ইতিহাস খুঁজে বের করার জন্য একসাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছ⛎ে আইসিএইচআর এবং ইসরো। এর উদ্দেশ্য হল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতকে ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
জানা গিয়েছে, ইসরো এবং আইসিএইচআর শীঘ্রই ‘ভারতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ইতিহাস’ শীর্ষক প্রকল্পটির কাজ শুরু করার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক বা মউ স্বাক্ষর করবে৷ প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় হবে আনুমানিক দেড় কোটি টাকা। বিজ্ঞানে ভারতের অবদানকে জনসাধারণের সামন♓ে তুলে ধরতে ছয়টি খণ্ড প্রকাশিত করা হবে। প্রাচীন, মধ্যযুগ এবং আধুনিক সময়ের বিশদ থাকবে এই ঘণ্ডগুলিতে।
আইসিএইচআর-এর সদস্য সচিব উমেশ অশোক কদম বলেন যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিজ্ঞানের শিক্ষাবিদ এবং ইতিহাসবিদদের একটি দল কাজ করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলিতে ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমৃদ্ধ ইতিহাস সম্পর্কে প্রচুর তথ্য পাওয়া যায়। তবে দুর্ভাগ্যবশত, ইতিহাসবিদরা এখনও এটি থেকে কোনও তথ্য তুলে ধরে মানুষের সামনে প্রকাশ করেননি এবং এটিকে পৌরাণিক বলে অভিহিত করা হয়। আমরা এই গ্রন্থগুলি সঠিকভাবে পড়ব এবং সেগুলোর ঐতি🍎হাসিক ও বৈজ্ঞানিক বিষয়বস্তু বোঝার চেষ্টা করব।’
অশোক কদম আরও বলেন, ‘আইসিএইচআর এমন একটি সংস্থা যা সম্পূর্ণরূপে শিক্ষার জন্য নিবেদিত। এর সাথে রাজনী🍬তির কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের কাজ প্রকাশ হোক, তারপর নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের কাজ জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। যদি এটি সঠিক না হয় তবে লোকেরা তা অনুসরণ করবে না। যে লোকেরা বলে যে আইসিএইচআর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কাজ করে, তারা নিজেরাই পলিটব্যুরোর সদস্য।’
এদিকে ইসরোর একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন যে প্রকল্পটি আধুনিক এবং প্রাচীন জ্ঞানকে একত্রিত করবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই কর্তা বলেন, ‘ইসরো এই প্রকল্পের অংশ হতে পেরে খুশি। আমরা সম্প্রতি একটি সম্মেলন করেছি যেখানে আমরা বিজ্ঞানের আধুনিক জ্ঞান এবং প্রাচীন জ্ঞানকে একত্রিত করার জন্💫য আমাদের লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করেছি। এটি🐟ই আমাদের বাকি বিশ্বের থেকে আলাদা করে। আমাদের আমাদের ইতিহাসকে আলিঙ্গন করতে হবে।’