সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে যেখানে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ ছিল, সেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা প্রায় ১ শতাংশ বেড়ে ৮.২ শতাংশ হয়। এদিকে সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৮ শতাংশ ছিল। দেশের অর্থনীতি বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম ধাপে দাঁড়িয়ে। দেশে ইউনিকর্ন স্টার্টআপের ছড়াছড়ি। এতকিছুর মাঝেও কেন মোদীর '৪০০ পার'-এর স্বপ্ন মুথ থুবড়ে পড়ল লোকসভা নির্বাচনে? (আরও পড়ুন: ছেলের হাতের মোয়া নাকি? ♉আদালতের কড়া শর্তে চিন্তায় কর্মরত সরকারি কর্মীরা?)
আরও পড়ুন: শহুরে এলাকায় ৪০% ভো▨ট BJP'র, তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের ৬২ শতাংশই এসেছে মফস্বল থেকে
আরও পড়ুন: একদিনে ১৯৭ꦑ১ কোটি অর্ডারের🍨 লেনদেন 'চঞ্চল' শেয়ার বাজারে, বিশ্বরেকর্ড গড়ল NSE
বিজেপি বারবারই এটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে, মোদীর হাত ধরে ভারতীয় অর্থনীতি রকেট গতিতে ছুটছে। মোদীও 'গ্যারান্টি' দিয়েছিলেন, তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে ভারতকে বিশ্বের পঞ্চম থেকে তুলে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি করবেন তিনি। তবে এত কিছুর মধ্যেও দেশে গরিব ও ধনীদের মধ্যকার অসাম্য বজায় রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের শীর্ষ ১ শতংশ ধনীর সম্মিলিত সম্পত্তির পরিমাণের হার সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙেছে মোদী ২.০-র মেয়াদকালে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশের শীর্ষ ১ শতাংশ ধনীর হাতে থাকা সম্মিলিত ধনের পরিমাণ দেশের মোট ধনের ৪০.১ শতাংশ ছিল। শীর্ষ ১ শতাংশ ধনী আরও ধনী হয়ে উঠেছে ২০১৪ এবং ২০২২ সালের মধ্যেই। এই আবহে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং গরিবদের একটা বড় অংশ হয়ত বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেন। (আরও পড়ুন: ‘অগ্নিবীর স্কিমে বদল চাই’, UCC, ‘এ♏ক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে সমর্থন দিয়ে শর্ত নীতীশের)
আরও পড়ুন: বুথ ফেরত সমীক্ষা দিয়ে শেয়ার বাজারে কারচুপি? প্রশ্ন🗹 তুলে তদন্তের দা𒈔বি TMC সাংসদের
আরও পড়ুন: 'অꦛতি লোভে তাঁতি নষ্ট', 𒆙বড় রায় আদালতের, মাথায় হাত পড়তে পারে সরকারি কর্মীদের
এদিকে এপ্রিলে মূল্যস্ফীতির হার ৪.৮ শতাংশ ছিল। এর মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় খুচরো মূল্যস্ফীতির হার ৫.৪ শতাংশ।🔜 এদিকে শহুরে এলাকায় মূল্যস্ফীতির হার ছিল মাত্র ৪.১ শতাংশ। এর আগে মার্চে খুচরো মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৪.৯ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে খুচরো মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫.১ শতাংশ। ধাপে ধাপে মূল্যস্ফীতির হার কমলেও আরবিআই-এর দেওয়া টার্গেট - ৪ শতাংশের অনেকটাই ওপরে আছে তা। বিরোধীদের কাছে এটা একটি বড় হাতিয়ারও ছিল ভোটের ময়দানে।
অপরদিকে বেকারত্বের হারও একটি বড় ইস্যু। গত জানুয়ারি থেকে মার্চ ত্রৈমাসিকে দেশের শহুরে অঞ্চলগুলিতে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সিদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৬.৭ শতাংশ ছিল। এর আগে গতবছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের শহরগুলিতে বেকারত্বের হার নেমে এসেছিল ৬.৫ শতাংশে। এদিকে গত মার্চ মাসে দেশে সার্বিক ভাবে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৪ শতাংশ। এপ্রিলে তা বেড়ে হয়েছিল ৮.১ শতাংশ। এই আবহে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের হারকে নিয়ন্ত্রণ করা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মোদীর সামনে। তবে সেটাকে ঘুরিয়ে সরকার বলেছিল - আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এই আবহে যুব সমাজের একাংশেরও হয়ত মোহভঙ🤡্গ হয়েছিল বিজেপিতে।