সুদানের গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতির মধ্যে আটকে বহু ভারতীয়। এখনও পর্যন্ত সেদেশে মৃত্যু হয়েছে এক ভারতীয়র। এই আবহে সেই দেশে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ব্রিটেন, আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবের সঙ্গে আলಌোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। জানা গিয়েছে, দুই আরব দেশের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে নিজে কথা বলেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এই বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, দিল্লির অগ্রাধিকার হল সকল ভারতীয়র সুরক্ষা নিশ্চিত ܫকরা। পাশাপাশি বিদেশ মন্ত্রক মেনে নিয়েছে যে সেই দেশের পরিসিথিতি এখন খুবই গুরুতর।
এদিকে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সুদানে ভারতীয়দের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব যথাসম্ভব সাহায্য করবে ভারতকে। এদিকে ব্রিটেন এবং আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতরাও সেদেশগুলির সরকারের সঙ্গে সুদানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সুদানে রাষ্ট্রসংঘের উপস্থিতি রয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের দলের মাধ্যমে আমেরিকা এবং ব্রিটেনেরও উপস্থিতি রয়েছে সুদানে। এদিকে নয়াদিল্লিতে ইতিমধ্যেই একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। খারতুমে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে সেই কন্ট্রোলরুম অনবরত যোগাযোর রেখে চলেছে। সরকারি তথ্য বলছে, সুদানে বর্তমানে ২৮০০ জন ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন। এদিক😼ে সুদানে ১২০০ ভারতীয় বংশোদ্ভূত থাকেন। এরা প্রায় ১৫০ বছর ধরে বংশানুক্রমে সেখানে থাকেন বলে জানা গিয়েছে।
রাষ্ট্রসংধের রিপোর্ট অনুযায়ী, সুদানে এখনও পর্যন্ত ২০০ জনের মতো প্রাণ হারিয়েছেন এই সংঘর্ষে। এদ🌺িকে জখম হয়েছেন প্রায় ১৮০০ জন। এদিকে এই সহিংꩵস সংঘর্ষের মধ্যেই সেই দেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত আইদান ও'হারার ওপর হামলা করা হয়। খার্তুমে তাঁর বাড়িতে ঢুকে এই হামলা চালানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, শনিবার সুদানে সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে সেদেশের আধাসামরিকꩲ বাহিনীর। এই সংঘর্ষে গতকাল পর্যন্ত তিনজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সেদেশের চিকিৎসক ইউনিয়ন। খারতুম বিমানবন্দরেও এক সাধারণ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে গৃহযুদ্ধের মাঝে আধা সামরিক বাহিনী দাবি করে, বিমানবন্দর এবং রাষ্ট্রপতি ভবন দখল করেছে তারা। যদিও সেনা সেই দাবি নাকচ করে দেয়। জানা গিয়েছে, এই সংঘর্ষের মূলে রয়েছে সামরিক নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান এবং তাঁর অধীনস্থ আধাসামরিক কমান্ডার মহম্মদ হামদান দাগলোর বিবাদ। আধাসামরিক বাহিনীর র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সকে (আরএসএফ) সেনার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া নিয়ে এই বিবাদ শুরু হয় বিগত কয়েক সপ্তাহ আগে। সেই বিবাদের জেরেই শনিবার থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে বন্দুক তুলে নিয়েছে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনী।