শ্রীলঙ্কার হাতে কেন কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দিয়েছিল ইন্দিরা গান্ধী⛎ সরকার? ওই অঞ্চল কি ‘মা ভারতীর অংশ’ ছিল না? সেই প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত আক্রমণাত্মকভাবে কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেছেন🔯 প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভায় মোদী বলেন, ‘তামিলনাড়ু এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটি দ্বীপ হল কচ্ছতিভু। সেটা অন্য একটি দেশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন কেউ একজন। ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে সেটা হয়েছিল।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওই অঞ্চল কি মা ভারতীর অংশ ছিল না?’
কিন্তু কী এই কচ্ছতিভু দ্বীপ, সেটার গুরুত্ব কী?
ভারতের রামেশ্বরম এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে কচ্ছতিভু দ্বীপ অবস্থিত। যে দ্বীপ ব্যবহার করতেন ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মৎস্যজীবীরা। কিন্তু ১৯৭৪ সালে 'ইন্দো-শ্রীলঙ্কান মেরিটাইম এগ্রিমেন্ট' বা ইন্দো-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক চুক্তির মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের হাতে কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দেয় ইন্দিরা গান্ধীর সরকার। একাধিক মহলের দাবি, ১৬৩ একরের সেই দ্বীপ নিয়ে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধꦜ্যে যে টানাপোড়েন ছিল, তা যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব না পড়ে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যাতে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়, সেজন্য বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে শ্রীলঙ্কার হাতে কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দেওয়া হয়।
কিন্তু ভারত সরকারের সেই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, মূলত তামিলনাড়ুর মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের ক্ষোভের মাত্রা বাড়তে থাকে। কারণ তাঁরা আগে যেখান থেকে♓ জীবিকা অর্জন করতেন, সেই দ্বীপের ধারেকাছেও ঘেঁষতে দেয় না শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী। তামিল মৎস্যজীবীদের ধরপাকড় করা হয়। গ্রেফতার করে শ্রীলঙ্কার বাহিনী।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সপ্তাহদুয়েক আগেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল বলে অভিযোগ তুলে💧ছেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। রামেশ্বরমের মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি পি সেসু রাজা অভিযোগ করেন, কচ্ছতিভু দ্বীপের কাছে যখন মৎস্যজীবী🐬রা মাছ ধরছিলেন, সেইসময় অত্যাচার চালিয়েছে শ্রীলঙ্কার বাহিনী। 'গান পয়েন্টে' তাঁদের তাড়া করা হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় মাছ ধরার জাল।
সেই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরেই তামিলনাড়়ুর মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। যে অসন্তোষের প্রভাবে রামেশ্বরম, পুদুকোট্টাই এবং নগপত্তিনমের মতো এলাকার ভোটভাগ্যও পুরোপুরি পালটে যেতে পারে।ಞ তবে বিষয়টি নিয়ে তামিলনাড়ু সরকারও কোনওদিন চুপ করে বসে থাকেনি। বারবার সরব হয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। শ্রীলঙ্কার থেকে কচ্ছতিভু দ্বীপ ফেরানোর জন্য একাধিকবার কেন্দ্রকে চিঠি লিꦦখেছিলেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা।
এবার কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন তামিলনাড়ুর বর্তম💖ান মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনও। তিনি সম্প্রতি দাবি করেন যে রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়াই শ্রীলঙ্কার হাতে কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দেওয়া হয়েছিল। তার ফলে বঞ্চিত হ🐟চ্ছেন তামিলনাড়ুর মৎস্যজীবীরা। তাঁদের জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাঁদের হেনস্থা করছে শ্রীলঙ্কার বাহিনী। কচ্ছতিভু ফিরিয়ে আনার জন্য তামিলনাড়ু বিধানসভায় যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, তাও জানান স্ট্যালিন। যে বিষয়টি বৃহস্পতিবার লোকসভায় মোদীর ভাষণেও উঠে এসেছে। তিনি জানান, কচ্ছতিভু ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁকে বারবার চিঠি লেখেন স্ট্যালিন। যিনি বিরোধীদের ‘INDIA’ জোটের অন্যতম নেতাও বটে।