এদিন টোকিওতে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক চালুর ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কোয়াড সামিটের আগে একটি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই এই ফোরামের সূচনা করেন বাইডেন। ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। জাপান, ভারত ও আমেরিকাসহ বিশ্বের মোট ১৩টি দেশ এই বাণিজ্যিক জোটের😼 অন্তর্ভুক্ত। এ বিষয়ে জো বাইডেন বলেন, এর মাধ্যমে আমরা একবিংশ শতাব্দীর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেꦿ পারব। এর পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মিত্র দেশগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বও জোরদার করা হবে। বলা হচ্ছে, এই ফোরামের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতি, সাপ্লাই চেন, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, অবকাঠামোসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যৌথ প্রচেষ্টা চালানো হবে।
এদিন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী হিন্দিতে বলেন, ‘ভারত IPEF প্🌟রতিষ্ঠার জন্য আপনাদের সকলের সঙ্গে কাজ করবে। এই ফ্রেমওয়ার্ক অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং পরিবর্তনশীল।’ মোদী এদিন আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে কাঠামোটি এই তিনটি স্তম্ভকে (বিশ্বাস, স্বচ্ছতা এবং সময়োপযোগীতা) শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে এবং এটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে উন্নতি, শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে।’
মোদি উল্লেখ করেন যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলটি সর্বদা উত্পাদন, অর্থনৈতিক কার্যকলাপ, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের কেন্দ্র ছিল। এবং তিনি বলেছেন যে ভারত ঐতিহাসিকভাবে এই অঞ্চলে বাণিজ্য প্রবাহের কেন্দ্রে রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে ভারতের প্রাচীনতম বাণিজ্যিক বন্দরটি তাঁর নিজ𒆙 রাজ্য গুজরাটে꧋র লোথালে অবস্থিত। প্রসঙ্গত, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিন নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে চায় এবং বিশ্ব বাণিজ্যের সাপ্লাই চেনের উপর নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চায়। তবে বেজিংয়ের সেই পরিকল্পনাকে মোকাবিলা করতেই এই ফ্রেমওয়ার্ক গঠিত বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২১ সালের অক্টোবরে জো বাইডেন প্রথম এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন। পরে এই প্রস্ত🅘াবটি ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস তৈরি করে। এতে বলা হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক প্রথাগত বাণিজ্য চুক্তি হবে না। এর মাধ্যমে ব্যবসায়িক নীতি, সাপ্লাই চেন, অবকাঠামো♚ এবং কার্বন নির্গমনের মতো বিষয়গুলোর উপর ফোকাস করা হবে। এছাড়া কর ও দুর্নীতি দমন বিষয়েও আলোচনা হবে।