ইরানের নীতি পুলিশের অত্যাচারে মাশা আমিনির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। এরপর থেকেই বিগত প্রায় তিন মাস ধরে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে দেখা যায় ইরানি নাগরিকদের। এই আবহে শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে ‘নীতি পুলিশ’ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল ইরানের সরকার। হিজাব🔯 বিরোধী আন্দোলনের জেরে ইরানে প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। পরিস্থিতি এমন হয়ে গিয়েছিল যে নিজেদের ফুটবল দলের হারে উল্লাস করতে দেখা যায় ইরানি নাগরিকদের। নিজেদের দেশের ফুটবল দলকে ‘সরকারের প্রতীক’ হিসেবেই দেখছিলেন🐻 আন্দোলনকারীরা। এই আবহে ইরানের হারে উল্লাস করা নাগরিকদের ওপরও অত্যাচার চালিয়েছিল সেদেশের পুলিশ। তবে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অশান্ত পরিস্থিতিকে শান্ত করতে এবার ‘নীতি পুলিশকে’ নিষিদ্ধ করল ইরান সরকার। সেদেশের প্রসিকিউটর জেনারেলকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা এএফপি।
প্রসঙ্গত, আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই ইরানে শুরু হয়ে♑ছিল হিজাব বিরোধী আন্দোলন। হিজাব পরার বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। মহিলারা প্রকাশ্যে হিজাব পুড়িয়ে সরকার বিরোধী স্লোগান তুলছেন মাঝ রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। বহু বিক্ষ🌳োভকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তবে প্রতিবাদ থামেনি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে হিজাব পুড়িয়েছেন মেয়েরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে নিজেদের চুল কেটে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শ’য়ে শ’য়ে মহিলা।
এখনও পর্যন্ত ইরানি সরকারের অত্যাচারে ৪০০ জন প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ১৬,৮০০ জনেরও বেশি। এই গোটা পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে কুর্দিশ তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যু। এরপর থেকেই হিজাব বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে সেই দেশ। তিন মাসেও এই ‘বিদ্রোহ’ দমন করতে পারেনি ইরানের সরকার। এবার সেই বিদ্রোহের আঁচ এসে পড়ল বিশ্বকাপের মঞ্চে। প্রসঙ্গত, আমিনির হিজাব ‘ঠিক ভাবে’ তাঁর মাথায় না থাকায় তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল🦋 নীতি পুলিশ। পরে দাবি করা হয়, আমিনি অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় আমিনির। ইরানের নীতি পুলিশ অবশ্য আমিনির মৃত্যুর দায় স্বীকার করেনি। তবে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল, নীতি পুলিশের অত্যাচারেই মৃত্যু হয় আমিনির। এই আবহে নীতি পুলিশ তুলে দেওয়ার বিষয়টি আন্দোলকারীদের কাছে বড় জয়।